কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে রাজ্যজুড়ে চলেছে গরু পাচারের (Cow Smuggling) কারবার। সেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর একের পর বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে। রকেট গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া অনুব্রতর সম্পত্তির যেমন তদন্তকারী সংস্থার নজরে। তেমনই গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে? সেটাও খুঁজে বের করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল ইডি।
সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা আইপিএলে বিনিয়োগ করেছেন কেষ্ট। গত দুই দিন ধরে হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এই তথ্য উঠে এসেছে। এমনটাই তদন্তকারী সন্সগথা সূত্রে খবর। ওই সূত্র মারফত আরও খবর, গরু পাচারের টাকা আইপিএলে বিনিয়োগের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশ।
সূত্রে খবর, গরু পাচারের বিপুল অঙ্কের টাকা আইপিএলের মতো বিরাট প্রতিযোগীতায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা যাবে না। তাই কালো টাকা সাদা করার বিশেষ যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে খাটানো হত। এমনটাই জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডির অফিসাররা।
গরু পাচারকাণ্ডে গত ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গরু পাচারে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতেই তদন্তে নামে ইডিও। ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও অবধি যে সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান সিবিআই নিয়েছে, তাঁদের মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কিন্তু উত্তরে একাধিক অসঙ্গতি থাকার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার কেষ্ট ঘনিষ্ঠ মণীশ কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, আমি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আর সেটাই আমার দোষ!