গুলিস্তানে হাহাকার। বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার (Dhaka) এই জমজমাট মোড়ে একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার কিছু পরে। আর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে। রক্তাক্ত গুলিস্তান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম অর্ধশত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আনা হয়েছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বিস্ফোরণে জখম কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ঢাকার বিস্ফোরণ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা?
দু’দিনে দু’বার বিস্ফোরণে কাঁপল ঢাকা। রবিবার সায়েন্স ল্যাব মোড়ের শিরিন ম্যানসনের তিন তলায় একটি অফিসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। ৩০-৩৫ জন জখম হন। তদন্তে উঠে আসে এসি বিস্ফোরণ হয়েছিল। আর মঙ্গলবার গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ কি নাশকতা? নাকি কোনও অন্য কারণ স্পষ্ট নয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের দিন বিস্ফোরণ নিয়েই সন্দেহ। এই দিনেই পাক শাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধের আব্বান করেছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অতি গুরুত্বপূর্ণ গুলিস্তান মোড়। মঙ্গলবার এখানকার বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের পাশে একটি ভবনে হয়েছে বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে নিচে সড়কের উপর বাসের জানালার কাঁচ ফেটে গেছে। গুলিস্তানের এই বিস্ফোরণের পর রক্তাক্ত ও অর্ধদগ্ধ দেহ বের করা হচ্ছে।
ঢাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলিস্তান। বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের পাশে নর্থ সাউথ রোডের সুরিটোলা স্কুলের কাছাকাছি ভবনটির দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি দোকান। তার ওপরের কয়েক তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস রয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।