Meghalaya: ওরা পুড়িয়ে খুন করবে আমাকে বাঁচান, তৃণমূলী মুকুলের আর্তনাদে কাঁপল মেঘালয়

মৃত্যুভয়ে কাঁপছেন মেঘালয়ের (Meghalaya ) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে নিজের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)।

Meghalya Election 2023: TMC fears about Mukul Sangma's change of party

মৃত্যুভয়ে কাঁপছেন মেঘালয়ের (Meghalaya ) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে নিজের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)। তৃ়ণমূল কংগ্রেস বিধায়কের আশঙ্কা তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র চলছে। বাড়িতে আগুন ধরানো হবে। মেঘালয়ে সরকার গঠনের জন্য একটি বিকল্প জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন মুকুল সাংমা। এই জোট নিয়ে পরপর বৈঠক চলছে। সূত্রের খবর দলনেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জোট গঠনের সবুজ সংকেত পেয়েই অন্যান্য দলগুলির সাথে যোগাযোগ করেছেন মুকুল সাংমা। এর মাঝে মেঘালয়ের মুখ্যসচিবকে লেখা তাঁর চিঠি ঘিরে শোরগোল পড়েছে।

মুকুল সাংমা মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই কারণে তিনি বিশেষ নিরাপত্তা পান। মুকুল সাংমা অবিলম্বে মেঘালয়ের মুখ্য সচিবকে চিঠিতে লিখেছেন, কয়েকজন অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং তারা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আমাকে ব্যক্তিগত ক্ষতির হুমকিও দিচ্ছে। আমি সিএসকে (মুখ্যসচিব) একই রিপোর্ট করেছি এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েছি। সাংমার আশঙ্কা, তাঁকে পুড়িয়ে খুন করার ছক করা হয়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে জোট সরকার গঠনের যে প্রক্রিয়া তৃ়ণমূল বিধায়ক হিসেবে নিয়েছি সেই কারণে কয়েকজন আমাকে পুড়িয়ে মারার হমকি দিয়েছে। তিনি এনপিপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

মেঘালয় বিধানসভার মোট আসন ৬০টি। কোনও দলই ৩১ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে একক বৃহত্তম দল হয়েছে এনপিপি। তারা পেয়েছে ২৬টি আসন। ভোটে পৃথক লড়াই করে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও ফল ঘোষণার পর তাদের সমর্থন করেছে বিজেপি। কনরাডকে সরকার গড়তে আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

এদিকে মেঘালয়ে কনরাড সাংমার দল এনপিপির সরকার গড়া রুখতে জোট গঠনে নেমেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃ়ণমূল বিধায়ক মুকুল সাংমা। তাঁর ডাকা বৈঠকে টিএমসির ৫ জন, কংগ্রেসের ৫ জন, ইউডিপির ১১ জন, এইচএসডিপির ২ জন, ভিপিপির ৪ জন ও পিডিএফের ২ জন বিধায়ক নিয়ে ৩০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়। মুকুল সাংমা জানান, জোটের বড় শরিক হিসেবে ইউডিপির কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই জোট প্রক্রিয়ার মাঝে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন মুকুল সাংমা।

জানা গিয়েছে, মুকুল সাংমার আহ্বানে জোটের বৈঠকে এলেও পরে বেঁকে বসে এইচএসডিপি। তাদের দুই বিধায়ক সরে যান জোট থেকে। দলটির সমর্থকরা গারো পাহাড় জুড়ে মুকুল সাংমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান। মুকুল সাংমার অভিযোগ, উত্তেজিতরা আমার বাড়িতে আগুন ধরানোর হুমকি দিয়েছে। একারণেই আশঙ্কিত মুকুল সাংমা। অভিযোগ, বিশেষ মহল থেকে অন্যান্য দলগুলির প্রতি জোট ছেড়ে দেওয়ার চাপ আসছে।