শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় হুগলির টিএমসি যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক এজন্ট সহ মিডলম্যানদের গ্রেফতার করে চলেছে সিবিআই। রবিবার মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতে পেশ করে সিবিআই। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যজুড়ে চাকরি বিক্রিতে চলত তাপস-কুন্তল-নিলাদ্রী ত্রিভুজ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা এই তিন জন তুলত বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই টাকা কাদের কাছে যেত? কারা সরাসরি যুক্ত ছিল এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে? তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। রবিবার তাপস মণ্ডল এবং নিলাদ্রী ঘোষকে গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতে পেশ করা হয়। এদিন আদালতে যাওয়ার সময় তাপস মণ্ডল দাবি করেন, তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এখন অভিযুক্ত হলেন।
একইসঙ্গে এদিন তাপস দাবি করেন, চাকরি প্রার্থীদের বেআইনিভাবে নিয়োগের জন্য ১৯ কোটি টাকা নিয়েছিল কুন্তল। পরে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যেই ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার দাবি করেছিলেন তিনি। তবে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কারণ জানা নেই বলে দাবি করেন তাপস।
যদিও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে নাম রয়েছে তাপস মণ্ডলের। তাঁর গ্রেফতারির পর হিসেবরক্ষক নীলকমল চক্রবর্তী দাবি করেন, মামলায় রাজসাক্ষী হতে পারেন তাপস। অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা, অভিনেতা, প্রযোজক শাহিদ ইমামও দাবি করেছেন তিনি রাজসাক্ষী হবেন।
একইসঙ্গে এদিন গ্রেফতার হওয়া তিন এজেন্টদেরও আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, গোপন জবানবন্দী দিতে রাজি রয়েছেন তিনজন এজেন্ট। এর আগেই গোপন জবানবন্দীদের মধ্যে শাহিদ আলি ইমাম চেয়েছিলেন গোপন জবানবন্দী দেবেন। এখন তাঁর দাদা আলি ইমাম এবং কৌশিক ঘোষ জানিয়েছেন তাঁরা গোপন জবাবনবন্দী দেবেন। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। কোন কোন প্রভাবশালীদের কাছে সেই টাকা পৌঁছে গিয়েছিল? সেটাই জানতে চান সিবিআই।