মহাশিবরাত্রির (Mahashivratri) দিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath) তাঁর গোরক্ষনগরীর বাসভবনে রুদ্রাভিষেক করেন। এসময় তিনি দেবাধিদেব ভগবান শিবের কাছে সমগ্র বিশ্বের কল্যাণ, মুক্তি, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রুদ্রাভিষেক করে তিনি মহাদেবের কাছে বিশ্বের মঙ্গল কামনা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সকালের রুটিন ছিল ঐতিহ্যবাহী। বাসভবন থেকে বের হয়ে প্রথমে তিনি বাবা গোরক্ষনাথের (Gorakhnath Temple) দরবারে পৌঁছে আচার-অনুষ্ঠানে বাবার পূজা করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গুরু ব্রহ্মলিন মহন্ত অবেদ্যনাথের সমাধিস্থলে গিয়ে আশীর্বাদ নেন।
যথারীতি তিনি মন্দির প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। গোশালায় গরুর সঙ্গে আধা ঘণ্টা কাটানোর পর তিনি তার পোষা কুকুর গুল্লুকে বিস্কুট খাওয়ালেন এবং আদর করলেন। এরপর রুদ্রাভিষেক করতে নিজের বাসভবনের শক্তিপীঠে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বসেছিলেন আচার্যগন।
জনদরবারে না গিয়ে সোজা ওপরে গিয়ে হলের কাছে স্থাপিত শক্তিপীঠে জনকল্যাণে রুদ্রাভিষেক করেন। দুর্গা শক্তিপীঠের কাছে জনকল্যাণে রুদ্রাভিষেক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অরবিন্দ ত্রিপাঠী ও আচার্য রামানুজের নেতৃত্বে মন্দিরের ১১ জন আচার্য জপ করতে বসেছিলেন। মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রুদ্রাভিষেক। রুদ্রাভিষেকের জন্য দুধ, আমের রস, আখের রস এবং আরও অনেক ফলের রস রাখা হয়েছিল। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রুদ্রাভিষেক করা হয়। এরপর হবন অনুষ্ঠিত হয়।