আজ, শনিবার মহাশিবরাত্রি (Maha Shivaratri) উৎসব উদযাপন করতে কাঠমান্ডুর বাগমতি নদীর তীরে অবস্থিত পবিত্র হিন্দু মন্দির পশুপতিনাথে প্রার্থনার জন্য ভারত জুড়ে হাজার হাজার সহ অন্তত ১৫ লক্ষ ভক্ত জড়ো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুরীর গোবর্ধন মঠের শঙ্করাচার্য নিসচালানন্দ সরস্বতী এই উৎসবে অংশ নিতে কাঠমান্ডুতে এসেছেন৷ পশুপতি এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার শঙ্করাচার্য মঠে বৈদিক জ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তৃতা দেবেন৷
তারা শনিবার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের সময় মঠে আদি শঙ্করাচার্যের মূর্তি উন্মোচন করবেন বলে মন্দিরের বিষয়গুলি পরিচালনাকারী ট্রাস্টের মুখপাত্র রেবতী রমন অধিকারী বলেছেন। শুক্রবার পশুপতিনাথ মন্দির চত্বরে আড়াই ঘণ্টার প্রার্থনা সভায় শঙ্করাচার্য বৈদিক দর্শনের ওপর বক্তৃতা দেন।
তিনি শুক্রবার থেকে মন্দিরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং এই উপলক্ষে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশুপতির মহেন্দ্র সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি বৈদিক পণ্ডিত এবং গণিতবিদদের সাথে বক্তৃতা ও আলোচনা করবেন। রমন অধিকারী বলেন, নিসচালানন্দ সরস্বতী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং তিনি উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হবেন।
তিনি বলেন, ট্রাস্ট আশা করছে শনিবার ১৫ লক্ষ ভক্ত পশুপতিনাথ মন্দির কমপ্লেক্স পরিদর্শন করবে৷ তার মধ্যে ভারত জুড়ে প্রায় ৩৫০০ সাধু রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১,০০০ নাগা বাবা, যারা দিগম্বর সাধু নামেও পরিচিত, ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। ট্রাস্ট সাধুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবে এবং এই অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে ১০,০০০ স্বেচ্ছাসেবককে একত্রিত করা হচ্ছে। নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ৭,০০০ এরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে কর্মকর্তা বলেছেন।
পুরো পশুপতি এলাকা রঙিন আলো, কাগজের পতাকা ও মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং ভক্তদের স্বাগত জানাতে কয়েক ডজন অভ্যর্থনা ফটক স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার ভোটর তিনটায় মন্দিরটি খুলবে এবং মন্দিরের চারটি দরজা থেকে ভক্তরা এক ঘন্টা বা ৯০ মিনিটের মধ্যে শিবলিঙ্গের দর্শন করতে পারবেন এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভক্তদের জন্য পানীয় জল, খাবার ও স্বাস্থ্য শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছে।