Shivratri Special: শিব সর্বত্র । ভারতবর্ষের প্রতিটি পাহাড় – জঙ্গল- নদী- গ্রাম-গঞ্জ শহর সর্বোচ্চ তার অবাধ বিচরণ। কলকাতার এই মোটা শিবকে বেঁধে রাখা হয় লোহার মোটা শিকল দিয়ে। আজ যে মোটা শিব নিয়ে বলা হচ্ছে, তা ‘Kolkata Heritage Grade 1’ এর তালিকাভুক্ত, অবস্থিত নিমতলা স্ট্রিটে।
মন্দিরের গঠনশৈলী
১৬, মোহাম্মদ রমজান লেন। হ্যাঁ এটাই ঠিকানা এই মোটা শিবের। প্রকৃত নাম ‘দুর্গেশ্বর শিব’ । এটি বাংলার আটচালা মন্দিরের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মন্দিরটি পশ্চিমমুখী । স্থাপিত হয় ১৭১৬ শকাব্দ বা ১২০১ বঙ্গাব্দ বা ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দে । মন্দির দৈর্ঘ্যে প্রায় ৮.৬ মিটার, প্রস্থ ৭ মিটার ও উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার।। মন্দিরের দেওয়ালে আগে ছিল বেশ কিছু পঙ্খ ও টেরাকোটার কাজ। যা কালের প্রবাহে বিলীন। কিছুই অবশিষ্ট নেই। চারিদিকের দেওয়ালে নেমেছে মহাদেবের জটার ন্যায় বটের ঝুড়ি।
দর্শনের সময়
বাবার মাথায় জল ঢালার সময় ভোর ৫ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত ও সকাল ৭.৩০ টা থেকে দুপুর ১২ টা ১৫ পর্যন্ত। বিকালে আবার বাবার মন্দির খুলে যায় ৪ টে তে। সন্ধ্যা ৮ টায় হয় বাবার বিশেষ অঙ্গরাগ । পুষ্প দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় বাবাকে। সে সাজ মনমুগ্ধকর । রাত ৯ টা, মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ হওয়ার সময়। আবার অপেক্ষা পরের দিনের।
প্রচলিত লোককথা
এই মোটা শিবকে বেঁধে রাখা হয় মোটা লোহার শিকল দিয়ে। কেন ? লোকমুখে প্রচলিত কথা অনুযায়ী গঙ্গা আগে প্রবাহিত ছিল এই মন্দিরের পাশ দিয়েই। একদিন পুরোহিত মশাই রাতে পূজা শেষে বন্ধ করে যান গর্ভগৃহ । সকালে এসে যখন দরজা খোলেন, দেখেন ভিতরে মহাদেব নেই।
কলকাতা শহরের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে এরকম কত ঐতিহ্য কত স্থাপত্য যা হয়তো বইয়ের পাতায় সেভাবে স্থান পায়নি তা বলে তার মাহাত্ম্য- কৃতিত্ব একটুও কমে যায়নি।