ভোট লু়ঠ করতে গিয়ে জনতার তাড়া, ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় মহিলাদের জুতো পেটা, ভয় কাটিয়ে ভোটারদের এগিয়ে যাওয়া এমনই সব নজির গড়ে শেষ হয়েছে বহু আলোচিত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Election 2023) ভোট দানের হার ৮১.১০ শতাংশ। ইভিএম বন্দি হয়েছে ত্রিপুরাবাসীর রায়। এই রায় রাম জোট নাকি বাম জোটের দিকে গেল সেই উত্তর মিলবে আগামী ২ মার্চ।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে ২ মার্চ। তবে ত্রিপুরার ভোট নিয়ে তীব্র চর্চা চলেছে। এ রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি জোট। আর ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে লড়াইয়ে নেমেছে বাম জোট। রাম নাকি বাম কোন জোটের হাতে আগামী পাঁচ বছর ত্রিপুরাবাসী নিজেদের রায় জানালেন তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। শাসক বিজেপি ও বিরোধী সিপিআইএম, কংগ্রেস দুই শিবির জয়ের দাবি করেছে।
ত্রিপুরার ভোট সন্ত্রাস কবলিত। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজনৈতিক সংঘর্ষের আবহে হয় নির্বাচন। এবারের ভোটে তেমনই টুকরো ছবি দেখা গেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বাংলা ও ককবরক ভাষার রাজ্যটিতে। তবে ভোট লুঠ রুখে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন রাজ্যবাসী। নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল ভোট হবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। বৃহস্পতিবার ভোট শুরু হতেই বুথ দখল ও রিগিংয়ের একাধিক অভিযোগ আসতে থাকে। তেমনই ভোট লুঠ রুখে একজোট হয়ে ভোট দিতে যাওয়ার ছবিও দেখা যায়।
নির্বাচনের আগে রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের সাথে আসন সমঝোতা করে কংগ্রেস। দুটি দল দাবি করে, শাসক বিজেপি গত পাঁচ বছরে যেভাবে একের পর এক নির্বাচন রিগিং করে জিতেছে সেটা রুখে দিন রাজ্যবাসী। এছাড়া অন্যতম ইস্যু ছিল গতবার বিজেপির তরফে ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা। শাসক বিজেপি দাবি করে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের উন্নয়ন সরকার চলছে। তবে পূর্ববর্তী রিগিং ইস্যু তাদের বিব্রত করেছে বারবার।
ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার সরকার গড়েছে বিজেপি। টানা পঁচিশ বছরের বাম শাসন শেষে পরিবর্তন হয়েছিল। এবারের ভোটেও পরিবর্তন? ত্রিপুরার ভোট শেষে এই প্রশ্ন বড় করে দেখা দিয়েছে। ত্রিপুরার নির্বাচনে বাম শক্তির পুনরুত্থান হবে কিনা তাও চর্চিত।