Ranji Trophy: রং দে রঞ্জি, বাংলার হাতে কাপ চাইছে প্রথম ফাইনালের ‘নায়ক’রা

৩৩ বছরের খরা কাটবে কিনা জানা নেই। প্রথম খরা কাটিয়েছিলেন যারা তারা আজ সিএবি’র সঙ্গে যুক্ত। বাংলার প্রথম রঞ্জি (Ranji Trophy) ফাইনাল কেমন ছিল? উত্তর মিলবে চাকুদার কাছে। কিন্তু তিনি তো নেই। উত্তর দেবে তাঁর বই।

Ranji chakuda

৩৩ বছরের খরা কাটবে কিনা জানা নেই। প্রথম খরা কাটিয়েছিলেন যারা তারা আজ সিএবি’র সঙ্গে যুক্ত। বাংলার প্রথম রঞ্জি (Ranji Trophy) ফাইনাল কেমন ছিল? উত্তর মিলবে চাকুদার কাছে। কিন্তু তিনি তো নেই। উত্তর দেবে তাঁর বই।

একান্ন বছর আগের এক এপ্রিল। বালাসাহেব ঠাকরের আমচি মুম্বাই যুগের দেড় দশক আগের বম্বে। রঞ্জি ফাইনাল। ভেন্যু, ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম। প্যাভিলিয়নের ছোট্ট সিঁড়ি বেয়ে মাঠে নামলো বাংলা দল। সবার আগে লাল বল হাতে চুনী গোস্বামী। পেছনে গোপাল বসু, দিলীপ দোশি, সুব্রত গুহ, সমর চক্রবর্তী, অম্বর রায় সহ গোটা দল। না, বাংলা সেবার রঞ্জি জিততে পারেনি।

কেমন ছিল সেইদিনটা? সমর চক্রবর্তীর পুত্র শিবাজী চক্রবর্তী বলেন, ‘ বাবার গল্পে, বাবার চোখ দিয়ে ওই রঞ্জি ফাইনাল বহুবার দেখেছি আমি। পরবর্তীকালে বাবার জীবনী “অফ কাটার” বইতে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সেই সময়ের কথা। ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন বাবা। একনাথ সোলকার, শারদ হাজারে আর নায়েককে আউট করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন রামনাথ পারকার আর অজিত ওয়াদেকরকে। চুনী গোস্বামী থেকে গোপাল বসু। পেশাসূত্রে ইন্টারভিউ করতে গিয়েছি অনেকবার। অবধারিত উঠে এসেছে ওই ফাইনালের কথা। এরপর?

৩৩ বছর আগের এক বিকেল। গুরগুড়ে পায়ে ইডেনে হাজির আমি। সম্বরণ বন্দোপাধ্যায়ের দল রঞ্জি জিতলো। বাবা সেই দলের অন্যতম নির্বাচক। মুঠো মুঠো আবির ওড়া ইডেন, উৎসব, রং, রংমশাল দেখেছি একেবারে সামনে থেকে। অনেক ছোট তখন,। তবু দেখতে দেখতে কেমন ঘোর লেগেছিল। এবার ২০২৩। ভালোবাসার দিনেই ভালোবাসার ইডেনে। অফ কাটার তুলে দেওয়া হলো লক্ষ্মী, মনোজ, সৌরাশিসের হাতে। বইটা নিয়ে প্রণাম করে যত্নে হাত বুলিয়ে দিলেন লক্ষ্মী। ৩৩ বছরের খরা কাটুক। ফাগুন হাওয়ায়, পলাশ, শিমুল আর রঙের দিনে ফুল ফুটুক ইডেনের ক্যানভাসে।” রং দে রঞ্জি।” মঞ্চ তৈরি। বাবা জীবিত থাকলে নিশ্চিতভাবেই ছুটে আসতেন মাঠে। কাপ জেতো এল আর এস। তারার দেশে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তোমাদের পূর্বসূরীরা।”