নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (SSC scam) তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জামিন আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। আদালতের কাছে মানিক ও কুন্তল ঘোষ সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল তদন্তকারী সংস্থা। ওএমআর শিটে সাংকেতিক ষড়যন্ত্র ছিল কুন্তল ও মানিকের। আদালতে দাবি করল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক একসাথে টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইডি।
হুগলির যুব তৃণমূলের নেতা কুন্তল ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছে ইডি। তদন্তে উঠে এসেছে গোটা নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক এবং কুন্তল গভীরভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া আশা করেছিল, সেই চাকরি প্রার্থীদের সমস্ত কিছু আগে থেকেই শিখিয়ে রাখত কুন্তল এবং মানিক।
ইডির দাবি মানিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষ গভীর ষড়যন্ত্রে যুক্ত।কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে? তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের। বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে নিষেধ করা হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের। অর্থাৎ, যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের এই সাংকেতিক বিষয়টি জানানো হত।
ইডির আইনজীবী দাবি করেন, একটা সময় রাজ্য থেকে ভালো ভালো অনেক শিক্ষক বের হয়েছেন। কিন্তু এখন শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যেতে বাধ্য হচ্ছে। যারা অযোগ্য প্রার্থী তাঁরা এখন শিক্ষাদান করছেন। ফলত, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।