দরজা খুলে দিলেই পুরো বিজেপি পার্টিটা তৃণমূলে চলে আসবে। তবে দরজা এখনও পুরো খুলিনি। এমনই বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির শক্তি আরও কমল বিধানসভায়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal)। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলে যোগদান সুমন কাঞ্জিলালের। সুমন কাঞ্জিলালের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে উত্তরবঙ্গের ৩ জন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে।
গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির যে ঘাঁটি তৈরি হয়েছিল তা বিধানসভা ভোটেও ধরে রাখে বিজেপি। তবে পুর ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়ে রাজ্যে। বিজেপির থেকে ভোটের নিরিখে বামফ্রন্ট এগিয়ে জেলায় জেলায়। এবার
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে সাংগঠনিক হাল যে করুণ তা দলটির সাংগঠনিক রিপোর্টেই স্পষ্ট। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলীয় নেতাদের কাছে জানতে চান পশ্চিমবঙ্গে ফের বামপন্থীদের শক্তি বৃদ্ধির কারণ কী? কোনও উত্তর ছিল না নেতাদের কাছে।
বিজেপিতে যেমন ভাঙন প্রবল তার ইঙ্গিত মিলছে জেলায় জেলায় কর্মীরা বসে গেছেন। উত্তরবঙ্গে সেরকমই রেশ বজায় রেখে ফের দলত্যাগ করলেন বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করতে চাই। সূত্রের খবর, আরও একাধিক বিধায়ক বিজেপি ত্যাগ করতে মুখিয়ে আছেন।
বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে আসার পর মুকুল রায় বলেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সূত্র মেনে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক ঢুকে গেলেন তৃণমূলে।