পুলিশ বলছে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির সাথে বিজেপির শীর্ষ নেতার গোপন লেনদেন হয়েছিল। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, নওশাদে আইএসএফ বিধায়ক। সেই দলের সাথে সিপিআইএমের জোট হয়েছিল। বিজেপির সাথে গোপনে কী হয়েছিল তার তদন্ত করছে পুলিশ। আর হেফাজতে থাকা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হুঙ্কার, এ রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হয়েছিল। সেই ভুল ভাঙতে শুরু করেছে। তৃণমূলের ভোট ব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভাঙড়ের তৃ়ণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দাবি, নওশাদ দোষী তাই জেলে গেছে।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সাথে হাওয়ালার মাধ্যমে বিজেপির এক শীর্ষ নেতার টাকা লেনদেন দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে সেই বিজেপি নেতার নাম জানানো হয়নি। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। নওশাদ বলেছেন, ভাঙড়ের পঞ্চায়েতে হার নিশ্চিত বুঝেই আমাকে এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। গরিব মানুষের আন্দোলন চলবে। তবে শাসক দলের ভোট ব্যাংক ধ্বংস হবার যে বার্তা নওশাদ সিদ্দিকি দিয়েছেন তাতে তৃ়ণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে তীব্র শোরগোল পড়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল তীব্র মেরুকরণের। সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগ পায় তৃ়ণমূল। সেই ভোটই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার টানা সরকার গড়তে প্রধান ভূমিকা নেয়। আর বিজেপি হয় বিরোধী দল। হেফাজতে থাকা নওশাদের অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটে তার প্রভাব পড়বে। খোদ ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।