নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসাবে ফের নির্বাচিত হল ভারত। ২০২২ সাল থেকে শুরু হয় ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই সদস্য পদের মেয়াদ বজায় থাকবে। এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের এই জয়কে গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও মৌলিক অধিকার রক্ষার জয় হিসেবে উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।
ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৬ তম সাধারণ পরিষদের সভায় আগামী তিন বছরের জন্য ১৮ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচন হয়। সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯৩। এই নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯৭টি ভোট। কিন্তু ভারত পেয়েছে ১৮৪টি ভোট। ভারতের এই বিপুল জয় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০২২ এর ১ জানুয়ারি থেকে নব-নির্বাচিত এই পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ শুরু হবে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচনে দেশের এই বিপুল জয়ে আমরা যথেষ্ট খুশি। যে সমস্ত দেশ আমাদের সমর্থন করেছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। যারা আমাদের সমর্থন করেনি আগামী দিনে তারাও আমাদের পাশে থাকবে বলে আশা করি।
এই নির্বাচনে বিপুল জয়ে এটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মানবাধিকার রক্ষা ও বহুত্ববাদ অক্ষুন্ন রাখার ক্ষেত্রে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে ষষ্ঠবারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ভারত। আমাদের উপর আস্থা ও ভরসা রাখার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য প্রতিটি দেশকে আমরা অভিনন্দন জানাই। আগামী দিনে মানবাধিকার রক্ষার জন্য ভারত সব ধরনের কাজ করে যাবে। বর্তমানে ভারত রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য। ৩১ ডিসেম্বর এই সদস্য পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।