এবার কি প্রকাশ্যে এক অভিনেত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেবে ইরান (Iran) সরকার? বিশ্বজুড়ে ছড়াল উদ্বেগ। ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দেলনের এক নেত্রী ও অস্কার জয়া তারানেহ আলিদুস্তিকে (Taraneh Alidiosti) বন্দি করা হয়েছে।
ইরানে পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি অংশ নেন। তাঁর বন্দি হবার সংবাদ ইরানের গণমাধ্যমে উঠে আসে। তারানেহ আলিদুস্তির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি ‘দ্য সেলসম্যান’ নামে ইরানি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক আসগর ফরহাদীর পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ধৃত ইরানি অভিনেত্রীর ৮০ লক্ষের বেশি অনুসারী রয়েছে ইনস্টাগ্রামে। ফলে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে চরম প্রতিবাদ।
বিবিসি জানাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তারানেহ আলিদুস্তি সরাসরি হিজাব বিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন করেন। মোহসেন শেকারিকে ফাঁসির পর অভিনেত্রী সরাসরি মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করেছিলেন। তারানেহ আলিদুস্তি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন আপনার নীরবতা মানে নিপীড়ন ও নিপীড়কের সমর্থন করছে। যারা এই রক্তপাত দেখছে এবং সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা মানবতার জন্য কলঙ্ক।
এর পরেই বন্দি করা হলো ওই অভিনেত্রীকে। তাঁকেও কি চরম শাস্তি দেবে ইরান সরকার উঠছে এমন প্রশ্ন। তারানেহ আলিদুস্তির এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। সেই ছবির নাম ‘লায়লাস ব্রাদার্স’।
ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নিয়ম আছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে হিজাব না পরার অভিযোগে তেহরান থেকে আটক করা হয়। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় দেশজুড়ে। দেশটিতে এ পর্যন্ত হিজাব বিরোধী কয়েকশ জন মৃত।