Belly fat: পেটের মেদ কমাবেন কি করে?

আজ নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যায় অর্থাৎ অঘ্রান মাস পড়ে গেছে। আর বাঙ্গালীদের কাছে অঘ্রাণ মাস মানেই বিয়ের মরসুম। বিয়ের মরসুম মানেই প্রচুর সাজগোজ, খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ, হইহুল্লোর।…

আজ নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যায় অর্থাৎ অঘ্রান মাস পড়ে গেছে। আর বাঙ্গালীদের কাছে অঘ্রাণ মাস মানেই বিয়ের মরসুম। বিয়ের মরসুম মানেই প্রচুর সাজগোজ, খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ, হইহুল্লোর। কিন্তু এইসব কিছুর মাঝে নিজেকে একটু রোগা দেখানোর অদম্য চেষ্টা সকলেরই হয়ে থাকে। যাতে তাকে বিয়ে বাড়ির সকলের মধ্যে সুন্দর ও লাশ্যময়ী হয়ে উঠতে সাহায্য করে। শরীরের মেদ ঝরানো এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। ওজন কমানোর সময়ে সবথেকে বেশি সমস্যা হল পেটের মেদ(belly fat) কমানোর ক্ষেত্রে। পেটের মেদ যেন কিছুতেই কমতে চায় না। আর সবথেকে তাড়াতাড়ি মেদ জমে যায় সেই পেটেই। সারাদিন জিম আর যোগাসন করে চলে পেটের মেদ কমানোর প্রচেষ্টা। অন্যদিকে আবার কেউ কেউ শুরু করে দেয় ডায়েট। আর সেই মুহূর্তে মানুষের কাছে ডায়েট মানেই একেবারে না খেয়ে থাকা কিংবা কম খাওয়া। এর ফলে মানুষ তার মেদ ঝড়ানোর থেকে শারীরিকভাবে দুর্বল বেশি হয়ে পড়ে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়েট মানেই একেবারে তেল-মশলা ছাড়া খাবার খেতে হবে, এমনটা নয়! শরীরে কোনও জটিল রোগ না থাকলে একবারে তেল ছাড়া খাবার খাওয়া উচিতও নয়। ওজন ঝরাতে চাইলে চার থেকে পাঁচ চামচ তেল দিয়ে সারা দিনের খাবার তৈরি করুন। ডায়েটে মাখন না রাখাই ভাল। পরিবর্তে দিনে এক চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে। হাতে যেটুকু সময় আছে সেই কদিন চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চিনির কিউব, কেক, প্যাস্ট্রি, সস, কেচাপ, বোতলজাত সালাদ ড্রেসিং, ক্যান্ডি, দুধ, সাদা চকোলেট, পাস্তা, রুটি, সাদা ময়দা, সোডা, প্যাকেটজাত ফলের রস, সিরাপ, ফ্লেভারড চা ও স্বাদযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রসব কথা বলা যেতে পারে কোন অনুষ্ঠানের আগে থেকে এই নিয়মগুলি অনুসরণ করলে হাতেনাতে ফল পাওয়া যায়।

গ্রিন টি একটি প্রাকৃতিক ওজন কমানোর পানীয়। এতে থাকে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। জাপানি বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, একটানা ১২ সপ্তাহ ধরে গ্রিন টি খেলে কোমরের পরিধি, শরীরের ওজন, বিএমআই ও রক্তচাপ কমে। কিন্তু এক্ষেত্রে এক মাস কিংবা দুমাস অর্থাৎ চার বা আট সপ্তাহ তুমি দুবার করে গ্রিন টি খেলে শরীরের ওজন কমবে। এছাড়াও, আপনি সকালে এক কাপ ঘন কফি বা চা মন মেজাজ ভালো করে দেয় ঠিকই। কিন্তু যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে লেবুর রস পান করুন।

 সমস্ত কিছু মেনে চলার পাশাপাশি একটু হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করুন। মাঝে মধ্যে ঘরের টুকটাক কাজ করবার চেষ্টা করুন। এতে ওজন কমার কাজটি ত্বরান্বিত হবে। রাত্রে ঘুমানোর তিন ঘণ্টা আগে খাবারটি খেয়ে নিন। আর অবশ্যই রাত্রে এগারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে পরবেন। এছাড়া যদি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে পুশ আপ, বারপি ব্যায়াম, সাইড প্লাঙ্ক ব্যায়াম এবং আরো কয়েকটি প্রেম করতে পারেন তাহলে সহজেই আপনার এক মাস কিংবা দু মাসের মধ্যে শারীরিক গঠনের পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন।