পুলিশের চোখে স্প্রে করে পালাল দুই জঙ্গি। তারা (Bangladesh) বাংলাদেশের যুক্তিবাদী প্রকাশক ও লেখক দীপন খুনের মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত।
নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিকে ফস্কা গেরো বানিয়ে চোখের পলকে হাওয়া দুই মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি। এ ঘটনা বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী (Dhaka) ঢাকার। জারি হয়েছে সতর্কতা। পলাতক দুই জঙ্গি আনসার আল ইসলাম সংগঠনের সদস্য। এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য যুক্তিবাদীরা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে যারা লেখালেখি করেন তাদের খুন করা।
- আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটির পুরনো নাম আনসরুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)
- জঙ্গি সংগঠনটির একটি শাখা পশ্চিমবঙ্গে জাল বিছিয়েছে আগেই
- পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকজন যুক্তিবাদীর নাম আছে তাদের তালিকায়
- বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির কয়েকজন আগেই পশ্চিমবঙ্গে ধৃত
বিস্তারিত পড়ুন:
রবিবার ভিড়ে ঠাসা ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত যে দুই জঙ্গি পলিয়েছে তাদের নাম আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ও ইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান। দুজনই ঢাকার যুক্তিবাদী প্রকাশনী জাগৃতি’র প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন খুনে জড়িত।
দুই জঙ্গিকে রবিবার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় আদালত ভবনের গেটের সামনে থাকা পুলিশকর্মীদের চোখে স্প্রে করে জঙ্গিরা। এরপর নিজেদের ছাড়িয়ে নিয়ে পালায়। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির কাছে কী করে চোখে দেওয়ার স্প্রে পৌঁছল তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পলাতক দুই জঙ্গির সন্ধানে ঢাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেটে হয়েছিল জঙ্গি হামলা। যুক্তিবাদী প্রকাশনী জাগৃতি কার্যালয়ে ঢুকে কোপানো হয়েছিল ওই প্রকাশনীর কর্ণধার দীপনকে। তিনি মারা যান। তদন্তে উঠে আসে দীপন খুনে জড়িত তৎকালীন এবিটি তথা বর্তমান আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠন জড়িত।
আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের মূল চাঁইয়ের নাম মেজর জিয়া। সে বাংলাদেশ সেনার বরখাস্ত হওয়া অফিসার। পরে জঙ্গি হয়। তারই নির্দেশে সংগঠনটি যুক্তিবাদীদের খুন করে।
দীপন খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে নাম মেজরর জিয়া আছে। তবে সে আত্মগোপনে। বাকি যে কয়েকজন ধৃত তারাও মৃত্যুদণ্ডের আসামি।