শাড়ির খাঁজে খাঁজে সোনালি ঝলক! সীমান্তে ধৃত সোনায় মোড়া মহিলা

মহিলা অফিসার (BGB) তল্লাশি করার পর যখন বেরিয়ে এলেন তার চোখে মুখে বিস্ময়। তিনি যা বললেন তাতে চমকে গেলেন বাকিরা। এ যে সোনায় মোড়া মহিলা!…

মহিলা অফিসার (BGB) তল্লাশি করার পর যখন বেরিয়ে এলেন তার চোখে মুখে বিস্ময়। তিনি যা বললেন তাতে চমকে গেলেন বাকিরা। এ যে সোনায় মোড়া মহিলা! অথচ দেখে কে বলবে একেবারেই গ্রাম্য মহিলার সর্বাঙ্গে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা রাখা ছিল। সীমাম্তে সোনা পাচারে (Gold Smuggling) জড়িত এই মহিলা।

বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত (Bangladesh-India Border) দিয়ে সোনা পাচারের একের পর এক অভিনব পদ্ধতি গত কয়েকমাস ধরে চমকে দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) রক্ষীদের। এবার শাড়ির ভাঁজে বিশেষ পদ্ধতিতে রাখা সোনার বার পাচার করার সময় ধৃত বাংলাদেশি মহিলার নাম রত্না বেগম।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) খুলনা ব্যাটালিয়নের এই অভিযানে যশোরের পুটখালী সীমান্ত থেকে ১.১৬৫ কেজি ওজনের ১০টি সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। চোরাই সোনার মোট মূল্য ৮৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা (বাংলাদেশি মূল্য)।

বিজিবি জানিয়েছে সীমান্তের ওপারে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সোনার বার পাচার করার তালে ছিল রত্না বেগম। যশোরের পুটখালী থেকে অল্প দূরে ভারতের সীমাম্ত। সীমান্ত পার হয়ে সোনার বারগুলি পাঠানোর চেষ্টা করছিল রত্না বেগম।

বিজিবি খুলনা ব্যাটালিয়ন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পুটখালী সীমান্ত দিয়ে সোনার একটি বড় চোরাচালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবে। লে: কর্নেল মহম্মদ তানভীর রহমানের নেতৃত্বে খুলনা থেকে বিশেষ টহলদার দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। ভারত সীমান্তের ৫০০ গজ দূরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটখালী উত্তরপাড়া গ্রামে তল্লাশি চলছিল। স্খানীয় বাসিন্দ আয়না খাতুনের বাড়ির পাশে কলাবাগানে ধরা পড়ে রত্না বেগম। তার আচরণে সন্দেহ হয়। পরে বিজিবি মহিলা রক্ষীরা ধৃতের বিশেষ তল্লাশি করেন।

বিজিবি জানিয়েছে, সোনার বারগুলো ওই মহিলার শরীরে অভিনব কায়দায় পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল। দশ পিস সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।