গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে ১-৩ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ২০২২-২৩ ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। টানা দুম্যাচ হেরে খাঁদের কিনারায় থাকা একটা দল যেন জ্বলে উঠলো মশাল হাতে। আর এই জয়ের সঙ্গেই গুটি কয়েক লাল হলুদ সমর্থক,যারা অনেক আশা নিয়ে পাহাড়ে পা রেখেছিলেন আজ তাদের মুখেও তৃপ্তির হাসি।
তিন পয়েন্ট পেতেই গুয়াহাটির রাস্তায় মশাল হাতে(প্রতীকি মোবাইলের টর্চ আলো) লাল হলুদ সমর্থকদের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়রা যখন টিম বাসে করে হোটেলে ফিরে যাচ্ছেন তখনও লাল হলুদ সমর্থকদের মুখে সেই চেনা স্লোগান, যা প্রিয় ক্লাবের হারের সাথে সাথে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল।
‘হাইপ্রেসার গেম’ ডার্বি ম্যাচের আগে এই জয় নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে লাল হলুদ শিবিরে। টানা ৬ ডার্বি ম্যাচের রঙ যে সবুজ মেরুন, আর এর যে কি যন্ত্রণা লাল হলুদ সমর্থকদের তা বিলক্ষণ বোঝেন ইস্টবেঙ্গল এফসির পোড়খাওয়া বৃটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন। তাই প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে ডার্বি ম্যাচ নিয়ে কনস্টাটাইনের কৌশলী জবাব এসেছিল। যাতে খেলোয়াড়রা ডার্বি ম্যাচের ‘মাইন্ড গেমে’ জড়িয়ে গিয়ে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফোকাস হারিয়ে না বসে। কিন্তু এবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের সমস্ত ফোকাস মহাডার্বি ম্যাচ ঘিরে,যা ২৯ অক্টোবর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হতে চলেছে।
এবার কি সাম্প্রতিক সময়ে ডার্বি ম্যাচে ATK মোহনবাগানের মৌসরীপত্তা ভেঙে চুরমার করে দিতে পারবে স্টিফেন কনস্টাটাইনের ছেলেরা, লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।