সপ্তমী সকালে কান্নায় ভাসছেন এই উমারা। ধর্মতলার ধরনাতলায় বসে তাঁরা বলছেন, “আমাদেরও বাবা আছেন, বাপের বাড়ি আছে। যেদিন চাকরিটা পাব, সেদিন আমাদের সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী সব। তৃ়ণমূল কংগ্রেস আমলে ব্যাপক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) কারণে চাকরি পাননি এরা।
চাপে পড়েছে রাজ্য সরকার। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “যাঁরা শিক্ষকতার কর্মপ্রাথী হিসাবে আছেন, তাঁদের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী অনুভব করছেন। এসএসসির তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, কোন মডেলে এগোব। ফলে এখন এসএসসি বা সরকারের হাতে কিছু নেই। আপনারা পরিবারের সঙ্গে পুজোটা কাটান ।
এদিকে ক্ষোভ তুঙ্গে। চাকরি প্রার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সপ্তমীও কি গান্ধী মূর্তির পায়ের তলাতেই কাটবে? প্রশ্ন শুনেই এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমাদের এখানে আজ থাকার কথা ছিল না। আমাদেরও প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের চাকরি তো চুরি হয়ে গেছে। আমরা যোগ্য প্রার্থী এখানে সবাই। আমরা আমাদের হকের চাকরিটা দাবি করছি। আমাদের চাকরি আমাদের ফেরান। আমার ঘরে একটা সন্তান আছে। তাঁকে হাত ধরে প্যান্ডেলে নিয়ে যাওয়ার বদলে ঘরে দরজা বন্ধ করে রেখে এসেছি। আমরাও তো মানুষ। আমাদের প্রাপ্যটাও তো পাওয়া দরকার।
কবে মিলবে চাকরি? জানা নেই। ভরসা আদালত। চাকরি প্রার্থীরা বলছেন, মমতার আশ্বাসে কোনও বিশ্বাস নেই। নিয়োগপত্র না পেলে, আন্দোলন প্রত্যাহার নয় বলে জানান তাঁরা। আন্দোলন প্রত্যাহার নয়, সাফ জানিয়েছেন SSC ও SLST চাকরিপ্রার্থীরা। পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটাতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও, বঞ্চনার প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা ।