Indonesia: বিশ্বে বৃহত্তম ‘ফুটবল দাঙ্গা’, ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুমিছিল চলছে

এত মৃত্যু ? আর কত ? ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) থেকে যত ছবি ও খবর আসছে তা থেকে পুরো বিশ্ব জুড়ে আলোচনা নিহতের সংখ্যা বিচারে এটাই এখনও…

Indonesia: বিশ্বে বৃহত্তম 'ফুটবল দাঙ্গা', ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুমিছিল চলছে

এত মৃত্যু ? আর কত ? ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) থেকে যত ছবি ও খবর আসছে তা থেকে পুরো বিশ্ব জুড়ে আলোচনা নিহতের সংখ্যা বিচারে এটাই এখনও পর্যন্ত সব থেকে বড় ‘ফুটবল দাঙ্গা’ (Football Riot)। মৃত্যুমিছিল চলছে ইন্দোনেশিয়ায়।

বিবিসির খবর নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। আপাতত ১৭৪ জনের মৃত্যু বলেই জানাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা থাকছে। ফুটবল মাঠে সংঘর্ষ ও তার জেরে গ্যালারিতে হুডোহুড়ি পায়ের চাপে মারা গেছেন শতাধিক। পরিস্থিতি ভয়াবহ। 

  • ফুটবল ম্যাচে বারবার রক্তাভ হয়েছে মাঠ।
  • ২০০১ সালে আফ্রিকায় ঘানার রাজধানী আক্রা ছিল রক্তাক্ত। ফুটবল ম্যাচ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১২৬ জন।
  • ১৯৮৮ সালে নেপালে ফুটবল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত হন ৯০ জন।
  • ১৯৮০সালে কলকাতায় মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের খেলা শেষে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন মারা যান।

বিস্তারিত সংবাদ পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ার Arema বনাম Persebaya Surabaya ফুটবল ম্যাচ শেষে ঘটেছে মর্মান্তিক এই ঘটনা। লিগে মুখোমুখি হয়েছিল জনপ্রিয় দুই ক্লাব। ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরে যায়  আরেমা। এরপরেই দর্শকদের বড় অংশ গ্যালারি ছেড়ে মাঠে ঢুকে পড়ে। হামলা শুরু হয়।   পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্যালারি লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

Indonesia: বিশ্বে বৃহত্তম 'ফুটবল দাঙ্গা', ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুমিছিল চলছে

Advertisements

দর্শকদের মধ্যে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। বিশৃঙ্খলা, পায়ের চাপে নিহতের সংখ্যায় বেশি।  খেলা দেখতে আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। হামলার জন্য  মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার। পুলিশের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেরোটি গাড়ি, যার মধ্যে দশটি পুলিশের।

সংঘর্ষের পর রাজধানী জাকার্তা সহ দেশটির সর্বত্র কোনওরকম ক্রীড়ানুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ফুটবল লিগের পরবর্তী ম্যাচগুলি স্থগিত। সংঘর্ষ থামাতে  পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।