গোরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling) বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) ফের জেল হেপাজতের নির্দেশ। জেলেই তাকে জেরা করবে ED
- সায়গল হয়ে উঠেছিল অনুব্রতর বিশেষ আস্থাভাজন।
- সায়গল ও তার স্ত্রীর সহ আত্মীয়দের বিপুল সম্পত্তি।
- আসানসোল জেলে ED যাবে রেকর্ড করার সরঞ্জাম নিয়ে।
খবরটি বিস্তারিত পড়ুন
আসানসোল সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের নিরদেশ আগামী ৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সায়গলের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় জামিনের আবেদন করা হয়নি।
আদালতের নির্দেশে জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করতে পারবে ইডি। জেলেই হবে সায়গকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্পূর্ণরূপে রেকর্ড।
আদালতের নির্দেশে ইডি আধিকারিকরা ল্যাপটপ সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্র নিয়ে যেতে পারবেন। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সায়গলকে জিজ্ঞাসাবদ করা যাবে।
গোরু পাচার মামলার তদন্তে সায়গল হোসেনের ভূমিকা ছিল বলেই বারবার তদন্তে উঠে আসে। রাজ্য পুলিশের কর্নী সায়গল হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হিসেবে। সিবিআই তদন্তে উঠে আসে সায়গল হয়ে উঠেছিল অনুব্রতর বিশেষ আস্থাভাজন। তার ফোন থেকে অনুব্রতর করা বিভিন্ন কল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও সায়গল ও তার স্ত্রীর সহ আত্মীয়দের বিপুল সম্পত্তির কারণ কী, এর পিছনে কি গোরু পাচারের টাকা জড়িয়ে আছে এই প্রশ্ন উঠেছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা সায়গল তার ডিউটি অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী থাকার সুবাদে গোরু পাচারে বিশেষ ভূমিকা নিত। তার বিপুল অর্থের বিষয়ে এবার ইডি নামছে তদন্ত করতে।