Bangladesh: হাসিনা সরকারের নিরাপত্তা আশ্বাস তবুও দুর্গাপূজায় আশঙ্কিত সংখ্যালঘুরা

বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার জানিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব (Durga Puja) দুর্গাপূজার নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে থাকবে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)…

বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার জানিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব (Durga Puja) দুর্গাপূজার নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে থাকবে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের এই আশ্বাসবাণীতেও আশঙ্কা মুক্ত হতে পারছেনা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

শারদীয় দুর্গাপূজা শঙ্কামুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ৷ পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, গত বছর পূজার সময়ের হামলাগুলোর বিচার হয়নি। আমাদের দাবি, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হোক। আমরা সরকারের ওপর আস্থা রাখতে চাই। তবে এ বছরের পূজা সম্পূর্ণরূপে শঙ্কামুক্ত নয়৷ আমরা সচেতন রয়েছি।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, কয়েকটি স্থানে ১২ থেকে ১৩টি মন্দিরে হামলা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দেশে সব ধর্মের উৎসব হবে। দুর্গাপূজায় বিশেষ নিরাপত্তা দিতে পূজা মন্ডপগুলিতে পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন হবে। রাখতে হবে সিসিটিভি।

বিবিসির খবর গত বছর বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার একটি মণ্ডপে কোরান রেখে ধর্মীয় গুজব ছড়ানো হয়েছিল। তার জেরে বাংলাদেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়। কুমিল্লা, রংপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালিতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। কুমিল্লার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদ হয়েছিল। এতে তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানাচ্ছে, এবার দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকারি নিরাপত্তার পাশাপাশি পূজা কমিটিগুলি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবস্থা করছে। রাতে সজাগ থাকবে তারা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, গত বছর দেশের দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি। এবার এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ হাজার ১৬৮টিতে, যগত বছরের চাইতে ৫০টি বেশি। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪২টি, যা গত বছরের চেয়ে ৭টি বেশি।