নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, ‘মর্ণিং শোজ দ্য ডে। (Morning Shows the Day)’ প্রবাদটা বহুদিন মনে রাখবেন বাংলার তৃণমূল সমর্থকরা। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২ হাজারেরও কম ভোটে হেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে, নিয়ম মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হতো তাঁকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু জিতলেনই না, নিজের ২০১১ সালে গড়া রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন মমতা জিতছেন, হেরে যাওয়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামে তৃণমূলের উল্লাস
২১ রাউন্ড গণনা শেষে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮৯ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪২০১ ভোট। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের থেকেও এবার বড় ব্যবধানে জিতলেন তিনি। মমতার জয়ে মহালয়ার আগেই ‘দুর্গোৎসব’ ভবানীপুরে। সবুজ আবিরে কার্যত উৎসবের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। ‘মোদীশাহসুরমর্দিনী’ মমতার নামে পোস্টারও পড়েছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়।
ये जो ‘ममता दीदी जी’ की जीत है
वही तो ‘सत्यमेव जयते’ की रीत है@MamataOfficial @AITCofficial— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) October 3, 2021
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক লাখ ভোটের মার্জিনে জেতানোর টার্গেট রেখেছিল রাজ্যের শাসকদল। যদিও সেভাবে ভোট না পড়ায় এত মার্জিন না হলেও শেষ হাসি দিদিমণিই হাসবেন বলেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জোড়াফুল শিবির। শেষবেলাতেই সেই আত্মবিশ্বাস বজায় রেখেই শেষ হাসি হাসলেন তাঁরা। ভবানীপুরে জিতে আবার রাজ্যের প্রধানের কুর্সিতে বহাল হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এই নিয়ে তৃতীয়বার ভবানীপুর থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১১ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনী জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তাঁর দল রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মমতা নিজে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হননি। দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তৃণমূলনেত্রী। তবে শপথের মেয়াদ ৪ নভেম্বর শেষ হচ্ছিল মমতার। স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি হেরে গিয়েও পদে ছিলেন দল জিতে যাওয়ায়। ফলে আজ স্বভাবতই ছিল তাঁর প্রেস্টিজ ফাইট। সেই ফাইটেই নিজের ক্যারিশমায় মমতা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আক্ষরিক অর্থেই ‘জননেত্রী’।