শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Ganguly)৷ নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগের ক্ষেত্রে যত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, পুরো তালিকা এক সপ্তাহের মধ্যে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি৷ বিচারপতি জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাস থেকে চাকরি প্রার্থীরা অপেক্ষা করছে, তাই তাদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে৷ সেখানে সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছ থেকে বেআইনি নিয়োগ তালিকা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি৷ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও অবধি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, এদের প্রত্যেককে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়তেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কীভাবে তৈরি করা হত? তাতে কারা ভূমিকা পালন করত? সবটাই জানতে চেয়ে চার জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এরই মধ্যে আদালতের নজিরবিহীন নির্দেশ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, পুজোর আগেই চাকরি হারাতে চলেছেন কয়েক হাজার কর্মরত শিক্ষক। ফলে আগামী দিনে আদালতের তরফে নিয়োগ নিয়ে কী নির্দেশ দেওয়া হয়? সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে হবু শিক্ষকরা।