বড় দলে ব্রাত্য। কিন্তু গোল করার কাজে এখনও রত। কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL) একের পর এক ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করে চলেছেন উইলিস প্লাজা। চলতি কলকাতা ফুটবল লিগে বেশ ভালো দল গড়েছে ভবানীপুর। কলকাতায় এবং ভারতের নামী ক্লাবে খেলা ফুটবলারদের নিয়ে দল গঠন করেছেন কর্তারা। সই করানো হয়েছিল উইলিস প্লাজাকে। নিরাশ করেন তিনি। দলের সঙ্গে একটু দেরিতে যোগ দিলেও মানিয়ে নিয়েছেন দ্রুত। যার সুফল পাচ্ছে ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব।
পরপর চারটি ম্যাচে জয় পেয়েছে ভবানীপুর। দিন দুই আগে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে খেলা শেষ ম্যাচেও এসেছে জয়। প্লাজার করা একমাত্র গোলে হয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ। তার আগে ক্যালকাটা কাস্টমসের বিরুদ্ধে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছিল দল। ৯৫ মিনিটে প্লাজার করা গোলে নিশ্চিত হয়েছিল জয়।
আগস্টের ২৩ তারিখের ম্যাচে গোলের বন্যা। জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে ম্যাচে হয়েছিল মোট ৮ টি গোল। জিতেন মুর্মু হ্যাটট্রিক করেছিলেন। একটি গোল পেয়েছিলেন উইলিস প্লাজা। ইতিমধ্যে নৈহাটি গোল্ড কাপ প্রবেশ করেছে ভবানীপুর স্পোর্টিং ক্লাবের ট্রফি ক্যাবিনেটে। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে একপেশে ম্যাচে চার গোল গিয়েছিল ভবানীপুর। প্লাজার জোড়া গোল। রেলের বিরুদ্ধেও তিনি উজ্জ্বল। পেয়েছিলেন একটি গোল।
২০১৭-১৮ মরসুমের শুরুর দিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন উইলিস প্লাজা। গতি এবং গোলের যুগলবন্দি মুগ্ধ করেছিল লাল হলুদ সমর্থকদের। ক্রমে নিম্নমুখী হতে শুরু করেছিলেন তাঁর ফর্ম। শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল থেকে প্রস্থান। এরপর চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে ফের জ্বলে উঠেছিলেন। এখানে প্রায় দুই মরসুম থাকার পর আবারও আলোচনার বাইরে। চলতি মরসুমে ফের নিজের জাত চেনাচ্ছেন উইলিস প্লাজা।