একাধিক দুর্নীতি মামলায় টলমল মুখ্যমন্ত্রীর গদি। তবে এই ঘটনা বাংলার নয়, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার অবশেষে বিধায়ক পদে হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) অযোগ্যতার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে শোনা যাচ্ছে, আজই মুখ্যমন্ত্রী সহ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে হেমন্ত সোরেনকে। একইসঙ্গে ইস্তফা দিতে হবে তাঁর মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যদের।
শুক্রবার রাঁচিতে সোরেনে বাসভবনে ইউপিএ-র শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সোরেন। এই পরিস্থিতি কৌশল ঠিক করতে তাঁর এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনেও হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক পদে অযোগ্য ঘোষণা করার ডাক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস তাদের সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে খনির লিজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তার বাবা শিবু সোরেনকেও ২০০২ সালে লাভের অফিসের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতার বিরুদ্ধে নিজের জন্য খনির ইজারা বাড়িয়ে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ৯(এ) ধারা লঙ্ঘনের জন্য সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।