আশা জাগিয়েও কলকাতা লিগে নেই ATK Mohun Bagan?

স্পোর্টস ডেস্ক: এএফসি কাপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ‘এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান’কে হারাতে পারলে ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ইতিহাস…

আশা জাগিয়েও কলকাতা লিগে নেই ATK Mohun Bagan?

স্পোর্টস ডেস্ক: এএফসি কাপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ‘এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান’কে হারাতে পারলে ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল সবুজ-মেরুনের সামনে। ইতিহাস গড়া তো দূরের কথা, উলটে গোলের মালা পরে এএফসি কাপের অভিযান শেষ করেছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। তারপরেই নাকি খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন কোচ হাবাস। অর্থাৎ, এএফসি কাপে হারের পর এবার মোহনবাগানের কলকাতা লিগে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে।

Advertisements

আরও পড়ুন কলকাতা লিগে নেই ইস্ট-মোহন, বাংলার ফুটবল বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ আইএফএ কর্তারা

   

প্রথমে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে এএফসি কাপ এবং পরবর্তী আইএসএলের প্রস্তুতির জন্য কলকাতা লিগে অংশ নিতে পারবে না মোহনবাগান। যদিও পরে মোহনবাগান কর্তারা জানিয়েছিলেন যে হয়তো এএফসি কাপ খেলে এসে কলকাতা লিগের ম্যাচে নামবে দল। সবুজ-মেরুন কর্তারা আইএফএ-র মতোই চেয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী লিগে অংশ নিতে। নাসাফের কাছে হেরে সে সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়। যদিও, এবার জানা যাচ্ছে দলের একাধিক খেলোয়াড়কে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। এবং তাঁর সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে একেবারেই জানতেন না মোহনবাগান কর্তারা। অন্যদিকে মালদ্বীপে সাফ কাপে ১ অক্টোবর থেকে খেলার জন্য ন্যাশনাল ক্যাম্পে যোগ দেবেন প্রীতম-সহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার। ফলে তাঁদেরও পাওয়া যাবে না। এই খবর জানার পরই কলকাতা লিগ খেলার বিষয়ে ক্লাবের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন আইএফএ কর্তারা। 

Advertisements

অতিমারীর কারণে গত বছর কলকাতা লিগ অনুষ্ঠিত হয়নি। এবারও দর্শকশূন্য মাঠেই কলকাতা লিগ আয়োজিত হচ্ছে। এসসি ইস্টবেঙ্গল আগেই জানিয়েছিল, তারা কলকাতা লিগে অংশ নেবে না। ফলে অন্তত মোহনবাগান মাঠে নামুক, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছিলেন আইএফএ কর্তারা। 

২০১১ সালের এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন নাসাফ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে ভালো ফল করার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন কোচ হাবাস। ম্যাচের আগে বলেছিলেন, “বিশ্বে কোনও কোচই জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে দুবাইয়ে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভাল হয়েছে। নাসাফ যে যথেষ্ট শক্তিশালী, তা আমাদের মাথায় আছে। ওদের হারানোর মতো ক্ষমতা আমাদের আছে।” যদিও ম্যাচের নব্বই মিনিটে দেখা গিয়েছে ঠিক উলটো ছবি। লজ্জার হার মাথায় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দল। দলের খেলোয়াড়দের চাঙ্গা করতেই নাকি তাদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচ।