গত মাসেই চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ব্রাত্য বসু। সোমবার চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজই কী কোনও সমাধান মিলবে?
ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, আমার রাজনৈতিক যিনি নেতা তিনি বিষয়টাকে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছে৷ এবার সহানুভূতির সঙ্গে আইন মেশাতে হবে৷ সহানুভূতিহীন আইন অর্থহীন৷ আইন এবং সহানুভূতির সুষ্টু সমন্বয় চাই৷ বেআইনিভাবে আমরা কিছু করতে চাই না। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ তারিখ চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি৷
চাকরি প্রার্থীদের তরফে সৈদুল্লাহ জানিয়েছে, আজ ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে যাবে৷ সেখানেই তাঁরা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। জটিলতা এত সহজে কাটবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত আরও এক হবু শিক্ষকদের আন্দোলন মঞ্চের তরফে এই বৈঠকের বিরোধীতা জানানো হয়েছে৷ তাঁদের সাফ বক্তব্য, এই রুদ্ধদ্বার বৈঠককে কোনভাবেই তাঁরা মেনে নিচ্ছেন না।
ছাত্র যুব অধিকার মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও একাধিকবার এধরনের কমিটি গঠন করে বৈঠক করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তাতে গুটিকয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হলেও বিপুল সংখ্যক মেধাতালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত। এই বৈঠকে তাঁদেরকে ডাকা হয়নি৷ তাঁরা শিক্ষা দফতরে যাবেন না। বরং গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না জারি রাখবেন৷
এমনিতেই শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজত হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নুয়োগ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি সহ একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ইডির তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে নেওয়া হলেও, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁরাও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়৷
ইডি, সিবিআইয়ের সাঁড়াশি চাপে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এরই মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান বের করতে পারবে সরকার? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।