একুশে জুলাই সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ইডি সিবিআই অভিযানে ভয় পাবেন না। সমাবেশের পরদিনই রাজ্য জুড়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে মন্ত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের ঘর সহ ১৩টি স্থানে ইডি অভিযান ঘিরে শোরগোল পড়েছে। এই প্রেক্ষিতে সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ,“তাহলে দার্জিলিঙে চায়ে পে চর্চায় ‘ডিল’টা কি হলো!!
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেলাগাম দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। নজরে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্যরাও। তল্লাশি অভিযান চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়িতে।
টুইট করে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী লেখেন, “তাহলে দার্জিলিঙে চায়ে পে চর্চায় ‘ডিল’টা কি হলো!! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের বিরত থাকার বিনিময় মূল্য কত? কয়লা পাচারের প্রথম চার্জশিটে ভাইপোর নাম বাদ। এইটুকুই! শুধু পিসি-ভাইপোতেই খান্ত? বাকি নেতা-মন্ত্রী দের জন্য ইডি’র হানা। দায়িত্ব নিলেন না- মাননীয়া? কি রকম নেত্রী!!”
উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পরই সিপিআইএমের তরফে তখন থেকে আক্রমণের তীর এসেছিল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, দার্জিলিংয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনকড় মনোনীত করার বার্তা এনেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানেই দুই দলের মধ্যে সমস্ত বোঝাপড়া হয়ে গেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।