Stop child marriage: বিদ্যালয় খুলতেই ভয়াবহ পরিসংখ্যান, শয়ে শয়ে ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল যা তাই হচ্ছে। লকডাউনে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান টানা দেড় বছর বন্ধের পর খুলতেই আসছে ভয়াবহ পরিসংখ্যান। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের সংখ্যা হু হু করে…

Stop child marriage

নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল যা তাই হচ্ছে। লকডাউনে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান টানা দেড় বছর বন্ধের পর খুলতেই আসছে ভয়াবহ পরিসংখ্যান। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। শুধুমাত্র রাজশাহীতেই ৫০০টি বাল্যবিবাহ হয়েছে লকডাউনে।

ঢাকার সব সংবাদপত্রের রিপোর্টে উঠে আসছে, লকডাউনের ধাক্কায় বহু পড়ুয়া হয় দিনমজুর বা বাল্যবিবাহের শিকার। চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ পরিবারগুলি। রোজগার তলানিতে ছিল। পড়াশুনো বন্ধ হওয়ায় পড়ুয়া শিশুকন্যাদের বিয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা। নিদারুণ এই ছবি। বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছাত্রীরা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

ঢাকার সংবাদপত্র ‘যুগান্তর’ এর রিপোর্ট বলা হচ্ছে, এক বিদ্যালয়েই শতাধিক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে এমন তথ্যও আছে। আবার একই গ্রামে একাধিক বাল্য বিয়ের ঘটনাও আছে। উপকূলীয় ও হাওড়াঞ্চলে অনেক ছাত্রীর মাথায় সংসারের বোঝা চেপেছে। অভাব-অনটনের কারণে বাবা-মা অনেকটা গোপনেই অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছেন সন্তানদের। এই ছাত্রীদের আর ক্লাসে ফেরার সম্ভাবনা নেই।

Stop child marriage

রাজশাহী বাল্যবিবাহের কেন্দ্র:
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে যেন বাল্যবিবাহের হিড়িক লেগেছে। পাঁচ শতাধিক ছাত্রী এর শিকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পড়াশোনার চাপ না থাকায় অধিকাংশ পড়ুয়া অলস সময় কাটিয়েছে। ফেসবুকে কিশোর-কিশোরীরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা এবং ভবিষতের কথা ভেবে অল্পশিক্ষিত অভিভাবকরাও বাল্যবিয়ে দিয়েছেন।

সরকার চিন্তিত। কারণ এই পড়ুয়াদের আর বিদ্যালয়ে ফেরার পথ প্রায় বন্ধ। তবে উল্টো ছবিও আছে। চলতি মাসেই বিদ্যালয় খুলতে দেখা যায় পড়ুয়াদের ভিড়। চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলে। এক ক্ষুদে ছাত্রী বন্যার জল ঠেলে নৌকা চালিয়ে আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। এই ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলেছে বিশ্বে।