পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টর গড়ে CPIM যোগে হিড়িক

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে ও নির্বাচনের পরেও রাজ্যে দলবদলের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন অনেকেই। কখনও বিজেপি, কখনও তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন বাঘা বাঘা নেতারা৷ কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের…

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে ও নির্বাচনের পরেও রাজ্যে দলবদলের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন অনেকেই। কখনও বিজেপি, কখনও তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন বাঘা বাঘা নেতারা৷ কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির প্রেক্ষাপট। এবার দুই দল থেকেই বাড়ছে সিপিআইএমে (CPIM) যোগদানের হিড়িক৷ সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের পর এবার বীরভূমে বাম শিবিরে যোগদানের নজির।

মঙ্গলবার বীরভূমের আঙ্গার গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজ্যধর গ্রামের প্রায় কুড়িটি পরিবার থেকে বিজেপি ও তৃণমূল ছেড়ে ৮০ জন সিপিআইএমে যোগদান করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই হাওয়া বদল রাজনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। এর কারণ, এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তিনি গোরু পাচার মামলায় ল্যাজে গোবরে হয়ে আছেন।

   

অনুব্রত ওরফে কেষ্টর নিজের জেলাতেই সিপিআইএমে যোগদান রাজনৈতিক মহলে ফের আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ পুরভোটে এ জেলায় বিজেপি শূন্য হলেও সিপিআইএম উঠে আসে দ্বিতীয়স্থানে। আর জেলার তাবড় বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল রাজ্য নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে কর্মীদের বসে যেতে বলেছেন।

পড়ুন: Dudhkumar Mandal: ‘অপেক্ষা করুন দেখবেন কী করি’, বিজেপির উপর হামলার ছক করছেন দুধকুমার

এর আগে সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের অন্তর্গত গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেপরিদহ এলাকার প্রায় ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী এদিন যোগ দিলেন সিপিআইএমে। সদ্য দলবদলকারী ৭৬ টি পরিবার বহুদিন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত বলেই জানা গেছে৷ দলত্যাগের পর জানান, রাজ্য সরকারের একাধিক কার্যকলাপ এবং ১০০ দিনের দুর্নীতির কারণে তৃণমূল ছেড়েছেন তাঁরা৷

পড়ুন: ‘খেলা ঘুরছে’ হাসছে আলিমুদ্দিন, তৃণমূল ছেড়ে তিনশ ভোটার CPIM হয়ে গেল

গত এক দশকে রাজ্যে বামেদের অবক্ষয় হতে শুরু করে। ফায়দা তুলে জায়গা করে নেয় বিজেপি৷ গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের বিধানসভায় আসন সংখ্যা শূন্য হতেই ঘুম উড়েছে রাজ্য নেতৃত্বের। এখন বিধানসভা নির্বাচনের খরা কাটিয়ে জেলায় জেলায় বাড়ছে বামেদের সংগঠন। ফলশ্রুতি হিসাবে একাধিক উপনির্বাচনে জয়লাভ হয়েছে বামেদের। এমনকি ফলাফলের পরিসংখ্যানে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিপুল সংখ্যক যোগদান মোটেই সহজভাবে নিচ্ছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।