ভয়াবহ ভূমিধসে মণিপুরের নোনে জেলার টুপুল স্টেশনের কাছে ঠিক কতজন নিহত তা তিনদিন পরেও স্পষ্ট নয়। ধস সরিয়ে নিহতদের দেহ বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা। সেনা বাহিনী, অসম রাইফেলস, এনডিআরএফ নেমেছে উদ্ধারে। বুধবার রাতে ধস নামে বিশ্বের সর্বোচ্চ নোনে রেলসেতু (Manipur Noney Tragedy) নির্মাণস্থল টুপুলে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত দার্জিলিং জেলার ৯ জওয়ানের মৃত্যু সংবাদ এসেছে।
মনিপুরের টুপুলে কাজ করছিলেন সেনাবাহিনীর ১০৭ নম্নর ব্যাটেলিয়নের টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা। পিটিআই ও অসম ট্রিবিউন জানাচ্ছে, মনিপুরের নোনে জেলার টুপুল স্টেশনের কাছে ধসের নিচে এখনও বহু জন আটকে। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে।
পড়ুন: Manipur Noney Tragedy: বিশ্বের সর্বোচ্চ নোনে রেলসেতু, বহু শ্রমিক-জওয়ানের মৃত্যুর নীরব সাক্ষী
মনিপুর রাজ্য সরকার ও সেনা বাহিনী জানাচ্ছে, বুধবার রাতে যে ধস নেমেছিল তাতে চাপা পড়েছেন বহু জওয়ান ও শ্রমিক। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অনেকে। এরা দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা। মনিপুরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন।
পিটিআই জানাচ্ছে, নিহতের সংখ্যা বাড়বে। অসম ট্রিবিউনের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্যু আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা।
মনিপুর থেকে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও সেনা কার্যালয়ে পরপর আসছে জওয়ানদের মৃত্যুর খবর। মিরিক, দার্জিলিং শহরের অনেকে নিখোঁজ এখনও। শুক্রবার ৯ জওয়ানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লেখেন, মণিপুর ভূমিধসে হতাহতদের মধ্যে দার্জিলিং পাহাড়ের নয়জন জওয়ান (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) রয়েছে জেনে আমি বিস্মিত। এই খবরে আমি গভীর শোকাহত। তাঁদের আত্মীয়দের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।