বীরভূমের (Birbhum) গ্রামীণ রাজনীতি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে প্রবল উত্তপ্ত ও রক্তাক্ত হতে চলেছে। এ জেলার অতি উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক চরিত্র অনুযায়ী তেমনই সম্ভাবনা প্রবল। রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির কোনও অস্তিত্বই নেই বীরভূমে। তবে পুরভোট লড়াইয়ে সিপিআইএম অস্তিত্ব দেখিয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপির হাঁড়ির হাল বুঝে ফের দল বদলে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা।
রাজনৈতিক কারণে বারবার রক্তাক্ত হওয়া নানুর থেকে ২০১১ সালে জয়ী হন তৃণমূলে কংগ্রেসের গদাধর হাজরা। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে ফের সিপিআইএম নানুর দখল করে। জয়ী হন শ্যামলী প্রধান। এরপর ২০২১ এর ভোটে শ্যামলী হারেন। জয়ী হয় তৃণমূল। নানুরের হেভিওয়েট নেতা গধাধর হাজরা চলে গেছিলেন বিজেপিতে। টিকিট পাননি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির যোগদান করেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। আড়াই বছর পর মোহভঙ্গ হতেই ফের ফিরলেন তৃণমূলে। শনিবার কীর্ণাহারে তৃণমূলের কর্মীসভায় যোগদান করেন তিনি। গদাধর হাজরাকে কীর্ণাহার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির হাওয়া বঝে দলবদল করেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনিরুল ইসলাম। বিতর্কিত মনিরুল কে নিয়ে বিজেপিতে ক্ষোভ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে নানুর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন বিধানচন্দ্র মাঝি। ধীরে ধীরে মোহভঙ্গ হতেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন গদাধর হাজরা।
বীরভূম জেলায় বিজেপি একেবারেই অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে এমনই দাবি গদাধর হাজরার। এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন জেলা বিজেপির বিদ্রোহী নেতা দুধকুমার মণ্ডল। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে জেলার সমস্ত কর্মীদের বসে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। জেলার প্রভাবশালী নেতার পরামর্শ পেতেই বীরভূম জেলায় বিজেপি ব্যাপক ভাঙন ধরতে শুরু করেছে।