Durand Cup: মোহন-ইস্ট ডার্বি দিয়ে শুরু হতে পারে ডুরান্ড, কলকাতা লিগেও খেলবে দুই প্রধান

ভারতের প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট এটি। বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম। এরকম একটা ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতায় যদি দেশের অন্যতম দুই পুরনো এবং সমর্থকবেষ্টিত ক্লাব অংশ না নেয়, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই…

Mohun Bagan-East Bengal match

short-samachar

ভারতের প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট এটি। বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম। এরকম একটা ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতায় যদি দেশের অন্যতম দুই পুরনো এবং সমর্থকবেষ্টিত ক্লাব অংশ না নেয়, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই জৌলুস কিছুটা হলেও কমতে বাধ্য। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। গতবার এটিকে মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) অংশ না নেওয়ায় বেশ বিরক্ত হয়েছিল সেনাবাহিনী।

   

একাধিক ইস্যু নিয়ে এদিন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দফতরে তিন প্রধানের কর্তাদের সঙ্গে সেনা কর্তারা এবং পিডব্লুডির আধিকারিকা বৈঠকে বসেন। সেখানেই বের হয় রফা সূত্র। জানা গিয়েছে, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি দিয়েই এবার শুরু হতে চলেছে ডুরান্ড কাপ। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। ফাইনাল ২৪ সেপ্টেম্বর। ডুরান্ডের ম্যাচগুলি হবে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান অর্থাৎ তিন প্রধানের ঘেরা মাঠে ও সেইসঙ্গে যুবভারতী এবং নবনির্মিত কিশোর ভারতীয় স্টেডিয়ামে। যদিও কোনও বিষয়েই সরকারি ঘোষণা বা সিলমোহর পড়েনি।

একপক্ষের দাবি, কলকাতা ডার্বি শনিবার বা রবিবার ছুটির দিনে করা হোক। তাহলে দর্শক সংখ্যা প্রচুর হবে। কিন্তু ১৬ আগস্ট বাংলায় পালিত হয় খেলা হবে দিবস। তাছাড়া দিনটি ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসাবেও পরিচিত। তাই শনি বা রবির পরিবর্তে সেদিন ডার্বি হওয়ার এবং ডুরান্ডের বোধন হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। এমনকি, ক্রীড়ামন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।

কলকাতা ময়দানের ফুটবল পরিবেশ দেখে বেজায় চটেছিল সেনা। বিশেষ করে তাদের ক্ষোভ দুই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের ওপর। সেনার বক্তব্য, খেলাধুলোর উন্নতির জন্য কলকাতা ময়দানকে তারা বিভিন্ন ক্লাবের কাছে লিজ দিয়েছে। কিন্তু উন্নতি তো দূরের কথা, খেলাই সে ভাবে হচ্ছে না। গত বছর বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি জটের কারণে দলগঠন হয়নি বলে ডুরান্ডে অংশ নেয়নি লাল-হলুদ। অন্যদিকে, এএফসি কাপের খেলা থাকায় এই সেনার এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারেনি সবুজ-মেরুন। কিন্তু এবার ক্রীড়ামন্ত্রী স্বয়ং সেনা আধিকারিকদের তথা ডুরান্ড কমিটিকে আশ্বস্ত করেছেন, প্রতিযোগিতায় খেলবে তিন প্রধানই। শুধু ডুরান্ড নয়, কলকাতা লিগেও মোহন-ইস্ট অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।