পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ঘাঁটি তৈরি করে বাংলাদেশে নাশকতা এবং সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা জামাত উল মুজাহিদিন (জেএমবি) ষড়যন্ত্র করেছিল। তাদের ঘাঁটি পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড়ে (Khagragarh Blast Case) হয় বিস্ফোরণ। সেই ঘটনার পর রাজ্যে প্রথম ধৃত আইএস জঙ্গি মুসার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণা করল এনআইএর বিশেষ আদালত।
মুসার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে দেশদ্রোহীতা ও সন্ত্রাসবাদী একাধিক কার্যকলাপ যুক্ত। বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা মহম্মদ মুসাউদ্দিন ওরফে মুসা কে ২০১৬ সালের ৪ জুলাই বর্ধমান স্টেশন থেকে ধরা হয়।
২০১৩ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের ঘটনা সারা দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। ধরা পড়ার পর প্রথমে সিআইডি’র হেফাজতে থাকলেও, পরে এনআইএ তাকে হেফাজতে নেয়। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয় তাকে।
আইএস যোগে মুসাকে গ্রেফতারের পর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি এনআইএর হাতে উঠে আসে। ভারতের বাইরেও যোগ ছিল তার। মুসার সঙ্গে বিভিন্ন আইএস মডিউলের সর্দারদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সেই তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের।
তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে অস্ট্রেলিয়ার এক আইএস মডিউলের সঙ্গেও যোগ ছিল তার। এর পর মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠায় এনআইএ। দীর্ঘ পাঁচ বছরফ পর মুসার সাজা ঘোষণা করল আদালত।