Argentina vs Italy : সার্থক হল রাত জেগে ম্যাচ দেখা। উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনালে (Finalissima) ফুটবলারদের স্কিল, বিশ্বের দুই তাবড় দলের মহারণ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন ফুটবল প্রেমীরা। গোল করলেন লাউতারো মার্তিনেজ, ডি মারিয়া, দিবালা। স্কোরবোর্ডে নাম না তুলেও মন জয় করলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)।
বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করার গ্লানি ঘোচাতে আর্জেন্টিনা ম্যাচকে পাখির চোখ করেছিল ইতালি। কিয়েলিন্নিও চেয়েছিলেন তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে তুলে নিলেন রবার্তো মানচিনি।
লন্ডনের এই মাঠেই, ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ইতালি। অন্যদিকে মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তাই দুই দলের কাছে এদিনের ম্যাচ ছিল সমানে সমানে।
পরিসংখ্যানের বিচারে দুই দল সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করেছে। আক্রমণ শানানো থেকে বল দখল, পার্থক্য উনিশ-বিশের। এসব অংকের বাইরের খেলায় তফাৎ গড়লেন সেই লিওনেল মেসি। ইতালির রক্ষণভাগ নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন তিনি। ৮৭ হাজার ১১২ জন দর্শক ভর্তি ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে “মেসি মেসি” ধ্বনি।
ম্যাচ চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করল তাঁর নাম। অনেকে বললেন, ‘এ যেন সেই আগের মেসি’। নিজেও গোল করতে পারতেন। কিন্তু ইতালির ডিফেন্স সেটা হতে দেয়নি। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে কোনওভাবেই আর গোল হজম করতে চায়নি আজ্জুরিরা। ডোনারুমা, বনুচ্চিরা একাধিকবার রোধ করেছেন তাঁদের দুর্গের পতন।
ম্যাচের প্রথম গোল লাউতারো মার্তিনেজের। ডি মারিয়ার গোল বিরতির ঠিক আগে। ইতালির জন্য লজ্জা আরও বাড়তে পারতো। ম্যাচের অন্তিম লগ্ন যতো এগিয়েছে, ত্ততই ইতালির ডিফেন্স চাপ বাড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের মধ্যে একের পর এক পাস খেলে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করেছে কোপা আমেরিকার সেরা দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে আর্জেন্টিনার আরও একটা গোল। এবার গোলকর্তা দিবালা। ০-৩ গোলে ম্যাচ হারল ইতালি।