মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে ভিড়ে ঠাসা মানুষের সমাগমে চলছে কেকের (Singer KK) অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে আসনসংখ্যার তুলনায় লোকসংখ্যা বেশী ছিল। এসি থাকলেও দরজা বারবার খোলার কারণে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে বলে আন্দাজ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, প্রেক্ষাগৃহে ক্যাপাসিটির থেকে বেশি লোক ছিল। অনুষ্ঠানে মানুষের উচ্ছ্বাস আটকানো যায়নি। তবে এসি ঠিক ছিল বলেই মনে করছেন কলকাতার মেয়র। নজরুল মঞ্চে দুই হাজার৫ আসন সংখ্যার বদলে সাত হাজার লোক ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে মেয়রের জবাব, কেএমডিএ-র তরফ থেকে ওই কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের অনুষ্ঠানে সিট নষ্ট হয়ে যায়। নজরুল মঞ্চের এসি যথেষ্ট ভাল। কিন্তু দরজা বার বার খুললে অসুবিধে হয়। তবে সাতাশশো ক্যাপাসিটির এসি, সেটা সাত হাজার হলে তো মানুষের গরম লাগবেই।
অন্যদিকে কেকের ম্যানেজারের দাবী, আমরা শো শেষ করেই হোটেলে পুঁছেছিলাম। গাড়িতে ওঠার সময় কেকে বলেছিলেন হাতে পায়ে টান ধরছে। ঠান্ডা লাগছিল বলে এসি বন্ধ করে দিতে বলেন। দরজা খুলে উমে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান। একা না তুললতে পারায় হোটেলের কর্মচারীদের ডাকেন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানায় তিনি আর নেই।
শো চলাকালীন বারবার সতীর্থদের জানিয়েছেন, তার গরম হচ্ছে। গান গাইতে গাইতে কিছু ক্ষণের জন্য থেমে মঞ্চের ব্যাকস্টেজে ঘাম মুছতেও দেখা গিয়েছে শিল্পীকে। তবু থামেননি। শেষ গান গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমেছেন। পারফর্মার এবং শিল্পী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব থেকে বিন্দুমাত্র সরে যাননি। কেকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় চলছে ঝড়।
এসএফ আই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, গতকাল যা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট বলা যায় ছাত্র সংসদ অসংবেদনশীল। গায়ক গাইতে গাইতে বলছিলেন, তাঁর কষ্ট হচ্ছে। বারবার বলছিলেন এসি চালানোর কথা। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করা হয়নি। সাময়িক লাভের আশায়, জনপ্রিয়তা কুড়োনোর জন্য ওখানে ওই ভাবে অত লোককে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।