সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবীদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সুযোগ হলে রাহুল গান্ধীএ সম্পত্তির হিসেব চাইবেন বলেও জানান বিচারপতি। একই মত প্রকাশ করেছেন হরিণঘাটার বিজেপি সাংসদ অসীম সরকার (asim sarkar)৷
তাঁর মতে, বিজেপি, তৃণমূল, সিপি(আই)এম, কংগ্রেস সমস্ত দলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির পরিমাণ ও উৎস খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।তাঁর বক্তব্য, এটা আমার বহু দিনের বাসনা যে রাতারাতি নেতা-মন্ত্রী-এমপি-এমএলএ-দের সম্পত্তি কী করে দ্বিগুন, তিনগুন, চারগুন হয়ে যায় সে রহস্যটা জানব। অনেকবার ভেবেছি, এত কিছু নিয়ে সিবিআই তদন্ত হয়। নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে তবে হবে না কেন? বিধায়ক, সাংসদ ছাড়াও পঞ্চায়েত এবং পুরসভার নেতাদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হোক বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার এবিষয়ে আদালতের কাছে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দায়ের করলে ভালো হত৷ কিন্তু নিজের দল কী এবিষয়ে অসীম সরকারকে সায় দেবে? বিধায়কের বক্তব্য, সব বিষয়ে দলের মতামত চাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিজেপি ক্ষমতায় না আসা সত্ত্বেও যদি কারোর সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক বছরে দ্বিগুণ হয়ে থাকে, তাহলে তা প্রকাশ্যে আনা হোক।
ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় পার্থর সম্পত্তির হিসেব এবং আয়কর রিটার্নের তথ্য৷ নিয়োগে দুর্নীতি হওয়ার সময় প্রচুর টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব চেয়েছেন কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এখন বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্যে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।