রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (presidential election) অংশগ্রহণ করতে পারবেন সাসপেন্ডেড বিধায়করা। সোমবার এমন নির্দেশ দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হাউসের বিষয় নয়। তাই সাসপেন্ডেড বিধায়করা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্য কোনও ব্যাপারে সাসপেনশন নেই।
উল্লেখ্য, গতবার অধিবেশনে শাসক বিরোধী শিবিরের বাক বিতন্ডায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। শাসক বিরোধী হাতাহাতিতে রক্তও ঝরে। ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, শঙ্কর ঘোষ এবং দীপক বর্মনদের সাসপেণ্ড করা হয়েছে। তার আগে রাজ্যপালের ভাষণে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখ্যোপাধ্যায়দের সাসপেণ্ড করা হয়।
ইতিমধ্যেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিধায়কদের সাসপেনশন কতদিন অবধি চলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু আড়াই মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাই আগে থেকেই স্পিকারের ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তিতে সাসপেন্ডেড বিধায়করা।
যদিও সাসপেনশন চলাকালীন বিধানসভার লবিতে প্রবেশ করতে পারবেন না বিধায়করা। তাঁদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতুবি ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।