চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings) হেলায় হারিয়ে এক লাফে লিগ তালিকার চার নম্বরে উঠে এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। বুধবার সিএসকেকে ১৩ রানে হারাল আরসিবি। বেঙ্গালুরুর কোনও ব্যাটারের ব্যাট থেকেই অর্ধশতরান পর্যন্ত আসেনি। তবুও ১৭৩ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে তাড়া। ব্যাটের মতোই বোলিংও ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রিত। ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে মাত্র চারটি রান অতিরিক্ত হিসাবে দেন হর্ষল প্যাটেল।
এদিন টসে জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠান মহেন্দ্র সিং ধোনি। টানা ব্যর্থতার জেরে চেন্নাইয়ের প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েন মিচেল স্যান্টনার। পরিবর্তে ফের দলে আসেন মইন আলি। হতাশ করেননি ইংরেজ অলরাউন্ডার। ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া আরসিবির দুই ওপেনারকেই সাজঘরের পথ দেখান তিনি। দারুণ শুরু করেও বড় রান করতে ব্যর্থ বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসি।
২২ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন ডু প্লেসি। তবে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বিরাট যে ভাবে বোল্ড হলেন, তাতে হয়তো তাঁর ভক্তকুল বেশ হতাশই হবেন। ৩৩ বলে ৩০ রান করেন তিনি। তার আগেই অবশ্য রান আউটের কবলে ফিরে যান ম্যাক্সওয়েল (৩)। তবে চার নম্বরে নেমে মহীপাল লোমরোর দুর্দান্ত ইনিংস খেলে যান। মাত্র ২৭ বলে ৪২ রান করেন এই তরুণ তুর্কি। রজত পাতিদার (১৫ বলে ২১), দীনেশ কার্তিকদের (১৭ বলে অপরাজিত ২৬) সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট খুইয়ে ১৭৩ রানের ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছয় আরসিবি। সিএসকে-র হয়ে মইন আলি দুটি এবং মহেশ থিকসানা তিনটি উইকেট নেন।
সিএসকেও শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল। গত ম্যাচের মতোই দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং ডেভন কনওয়ে সাবলীল ভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ২৩ বলে ২৮ রান করার পরই তাল কাটে রুতুরাজের। তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ মরসুমের শুরুতে দারুণ ফর্মে থাকা রবিন উথাপ্পা (১)। অম্বাতি রায়াড়ুও (১০) এদিন বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। তবে কনওয়ে ব্যাক-টু-ব্যাক হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন। সুযোগ পেয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন এই কিউই তারকা। আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫৬ রান করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে দিয়ে যান তিনি।
বলের পর ব্যাট হাতেও দলকে জেতানোর মরিয়া চেষ্টা চালান মইন আলি। তবে ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ৩৪ রান করলেও নেন ২৭টি বল। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরও ব্যাটে রান নেই রবীন্দ্র জাদেজার (৩)। বিপুল প্রত্যাশার চাপ নিয়ে মাঠে নামেন ধোনি। কিন্তু হ্যাজেলউডকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মাহি (২)। এমএসডি ফিরতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আরসিবির। ব্যাট হাতে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রানআউটের শিকার হলেও, বোলিংয়ে পুষিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে নেন দুটি উইকেট। সবথেকে আঁটোসাটো বোলিং করেন জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি। হর্ষল সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট ঝুলিতে পোরেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট খুইয়ে ১৬০ রান তোলে চেন্নাই।