স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট হোক কিংবা রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য- শহীদ আফ্রিদি প্রায়ই পাকিস্তানে আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন। তবে গত কয়েকদিন আফ্রিদি পাকিস্তানের চেয়ে ভারতেই বেশি আলোচনায় ছিলেন। আফ্রিদি বলেন, “এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই তালিবানরা এবারে অনেক ইতিবাচক। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। আল্লাহ যদি চান, যদি সব ঠিক থাকে তবে তালিবানরা এবারে নারীদের চাকরি, লেখাপড়া, রাজনীতি সবই করতে দেবে।”
আরও পড়ুন একে একে কমিছে বিধায়ক, বঙ্গে ক্রমশ ব্যাকফুটে বিজেপি
শুধু আফগানিস্তান এবং তালিবান নিয়ে নয়, আফ্রিদি মন্তব্য করেছিলেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়েও। তিনি জানান, “”তালেবানরা অন্য সবকিছুর মতো ক্রিকেটেরও নিয়ন্ত্রণ নেবে এতে করে আফগানিস্তানের ক্রিকেটে ভারতের আধিপত্য কমে যাবে।” আফ্রিদি দাবি করেন, তার সাথে আফগানিস্তানের অনেক ক্রিকেটার যোগাযোগ করেছেন এবং তারা সবাই একমত আফগানিস্তানে ক্রিকেট আগের মতোই চলবে, তালিবানরা ক্রিকেটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবেন না।”
এবার সেই ঘটনাতেই আফ্রিদিকে রীতিমতো ধুইয়ে দিলেন নেটিজেনরা। টুইটারে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘এবার তালিবান প্রিমিয়ার লিগের দায়িত্বে থাকবে আফ্রিদি।’ আরেকজন লিখেছেন, “ক্রিকেট নিয়ে বললেই, নারী অধিকার নিয়ে কথা বলার ‘অধিকার’ আফ্রিদিকে কে দিয়েছে?”
Yea!! He can organize 20/20 league matches there too… Taliban Pro League (TPL)
— Manish Mundra (@ManMundra) August 30, 2021
"They are allowing women to work"… the very concept of 'allowing' women to do anything is repugnant
— Khemta Hannah Jose (@khemta_h_jose) August 31, 2021
no wonder !! Last time he gave some statement about "Women – When the anchor asked Afridi about his view on women’s playing cricket in Peshawar, Afridi replied derisively: “Our women have magic in their hands; they are good cooks.”
— Tilda (@FemaleHumanBei2) August 30, 2021
The hypocrisy in this. Shahid Afridi will soon regret what he is saying here unfortunately. Taliban is like a movement that spread beyond borders, irrespective of anything that stands in front of it. Pakistan will be in crosshairs of course, it's no rocket science. https://t.co/IzXbkV1e8d
— Arjun (@LifeIsAnElation) August 31, 2021
Shahid Afridi the Brand Ambassador of Taliban premier league . https://t.co/fSuBWHi7Pf
— Pushkal Sachdeva (@pushkalsachdev) August 31, 2021
কাবুল দখল নেওয়ার পর নিজেদের ঘোষিত অবস্থানের উল্টো পথেই হাঁটছে তালিবান। আফগান মহিলাদের ঘরেই থাকতে হবে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা, এখন মহিলাদের কর্মস্থলে না যাওয়ার ফরমান-এরপর কী মাথা কাটার ফতোয়া? আফগানিস্তানের মহিলাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিস্তর। কারণ এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান সরকারের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছেন আফগানবাসী।
আরও পড়ুন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত-তালিবান আলোচনা শুরু, বড়সড় কূটনৈতিক ইঙ্গিত
তালিবান স্পষ্ট জানিয়েছে আফগানিস্তানে শরিয়া আইন জারি চলবে। কড়া ধর্মীয় এই নিয়মকানুনে মহিলাদের জন্য ভয়ঙ্কর সব নিদান রয়েছে। এর একটু ভুল হলেই প্রকাশ্যে নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি পেতে হয়। সেই বিষয়েই আফ্রিদির ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নেটিজেনরা।