By Election: ১৯৯৮ সালে দল তৈরির পর প্রথমবার আসানসোল লোকসভা মমতার

By Election: গণনা চলছে। ফলাফলে স্পষ্ট ইঙ্গিত পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ভেঙে টিএমসি গঠন করার পর…

mamata

By Election: গণনা চলছে। ফলাফলে স্পষ্ট ইঙ্গিত পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ভেঙে টিএমসি গঠন করার পর এই প্রথমবার আসানসোল থেকে দলীয় সাংসদ পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত দুটি লোকসভা ভোটে আসানসোলে পরপর জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তার আগে টানা জয়ী হয় সিপিআইএম। বাম জমানা শেষ হয়ে রাজ্যে ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর টিএমসি দখলে আসেনি আসানসোল। ২০০৯ এর পর ২০১৪ এবং ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ ছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। তিনি দলত্যাগ করে এখন টিএমসিতে। এই কারণে হচ্ছে উপনির্বাচন।

আসানসোল থেকে টিএমসির হয়ে সংসদে যাওয়া নিশ্চিত বিহারি বাবু অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার। দ্বিতীয় স্থানে থাকছেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল। তিন নম্বরে সিপিআইএমের পার্থ মুখার্জি। চতুর্থ কংগ্রেস।

আর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে টিএমসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে সিপিআইএম। অথচ একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপির নিচে ছিল বামেরা। এবার বিজেপি নেমেছে চতুর্থ স্থানে বালিগঞ্জ বিধাননসভা আসনের উপনির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের পথে। বিধানসভায় ঢুকতে চলেছে বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি ত্যাগ করা হার্ড হিটিং হিন্দুত্ববাদী বাবুলকে বালিগঞ্জের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর জন্য ভোট প্রাপ্তির নিরিখে টিএমসিকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে।

বালিগঞ্জ কেন্দ্রে গতবার নির্বাচনে টিএমসির সুব্রত মুখার্জি পেয়েছিলেন এক লক্ষের বেশি ভোট। তিনি জয়ী হন ৭৫ হাজারের বেশি ব্যবধানে। তাঁর প্রয়াণে হওয়া উপনির্বাচনের ফলাফল বলছে, টিএমসি বড় ধাক্কা খাচ্ছে। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে টিএমসির সঙ্গে এবার সিপিআইএমের মূল লড়াই।

গত বিধানসভা ভোটে টিএমসির সঙ্গে বিজেপির মূল লড়াই হয়েছিল। আর উপনির্বাচনের ছবি আলাদা। বিজেপি নেমেছে তৃতীয় স্থানে। কলকাতা পুরনিগম ভোটের ফল ধরে রেখে ফের মহানগরে চমক দিল বামফ্রন্ট। বালিগঞ্জে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা হালিম গতবারের পাওয়া বাম ভোটের ৫.৬১ শতাংশ পেরিয়ে তিরিশ শতাংশের বেশি ভোট টানছেন। গতবার সায়রা হালিমের স্বামী ডক্টর ফুয়াদ হালিমকেই কার্যত হারালেন স্ত্রী সায়রা।

দীর্ঘসময়ের বাদে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে জয়ের স্বাদ পেলেন সিপিআইএম। বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ও ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ২২৪ ও ৯১৮ ও ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

বালিগঞ্জে হার নিশ্চিত ছিল জানতেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। দলীয় প্রার্থী কেয়া ঘোষের হয়ে তেমন নামেননি কেউ।

বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের টিএমসি প্রার্থী বাবুল আগে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। হিন্দুত্ববাদী বাবুল জার্সি বদলে তৃণমূলী হয়েছেন। তবে আগে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ মন্তব্যের অভিযোগে তাঁকে নিয়ে উপনির্বাচন সরগরম।

প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কি এবারেও শূন্য হাতেই ফিরল। এও অন্যতম আলোচ্য বিষয়। কারণ, একুশের বিধানসভা ভোটের পর যতগুলো ভোট হয়েছে সবেতেই শূন্য হয়েছে বিজেপি।

তাৎপর্যপূর্ণ, বিধানসভায় কোনও আসন না পাওয়া বামফ্রন্টের তথা সিপিআইএমের ভোট প্রাপ্তির হার উর্ধমুখী। পুরনিগম ও পুরসভাগুলির ভোটে বিজেপি নেমেছে তৃতীয়স্থানে। কংগ্রেসের ভোটও বেড়েছে।

পুরভোটে বিরোধী দল বিজেপির ঘরে একটিও বোর্ড নেই। বাম দখলে গেছে একটি পুরবোর্ড। সবমিলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসা সিপিআইএমেরও পরীক্ষা এই উপনির্বাচনের ফলাফলে।

বাবুল বিজেপির সাংসদ ও মন্ত্রী থাকাকালীন আসানসোলে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। সিপিআইএমের সায়রা শাহ হালিম অভিজাত সংখ্যালঘু পরিবার থেকে আসা এমআরসি বিরোধী নেত্রী।