রাজ্যে গত বামফ্রন্ট আমলের একেবারে শেষের দিকে জঙ্গলমহল ছিল রক্তাক্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার বিস্তির্ণ অংশে প্রশাসন বলতে কিছুই ছিল না। তুমুল রাজনৈতিক রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মাওবাদীদের কিছু গোষ্ঠীর সখ্যতা পরবর্তী সময়ে প্রমাণ হয়েছে। এবার টিএমসি জমানায় ফের মাও আতঙ্ক। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে জারি হয়েছে ১৫ দিনের সতর্কতা। এই বলয়ের মধ্যে আছে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা।
গোয়েন্দাদের ইঙ্গিত আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে হামলা চালাতে পারে মাওবাদীরা। সিপিআই (মাওবাদী) শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসু ঝাড়খণ্ডে ধরা পড়ার পর মাওবাদীদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আরও বিশ্নেষণ করা হয়। সেই সূত্র ধরে, ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মাওবাদী হামলার সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক গোয়েন্দারা।
জঙ্গলমহল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ১৫ দিনের জন্য হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সমস্ত পুলিশের ছুটি বাতিল। মাওবাদীদের হামলার তালিকায় থানা ও নেতাদের বাড়ি থাকার সম্ভাবনা আছে।
গোয়েন্দারা বিশ্লেষণ করছেন, সম্প্রতি জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে মাওবাদীদের ডাকা বনধের প্রভাব। গত ৮ এপ্রিল জঙ্গলমহলে বনধের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। যে বনধের বিরাট প্রভাব পড়েছিল। এর পরেই গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে উঠে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা মধ্যে মাওবাদীদের নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে।