কথায় বলে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা যার দখলে সেই দলই কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলে এগিয়ে থাকে। সেই উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পরিস্থিতি কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই গোবলয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যে একের পর এক লজ্জার রেকর্ড গড়েছে কংগ্রেস (Congress)। মার্চ মাসে শেষ হওয়া রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কার্যত মুখথুবড়ে পড়েছে।
ঠিক এক মাস পর রাজ্যের বিধানসভা পরিষদ থেকেও মুছে গেল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল। যোগী রাজ্যে আরও এক লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ল কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর উত্তরপ্রদেশে এই প্রথম বিধান পরিষদে কংগ্রেসের একজন সদস্যও থাকছে না। রাজনৈতিক মহল জানিয়েছে, জহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধীর জন্মভিটেয় কংগ্রেসের এই অবস্থাই প্রমাণ করছে দলের করুণ হাল।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ৩৯২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস মাত্র দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। প্রায় অধিকাংশ আসনেই কংগ্রেস প্রার্থীরা জামানত খুইয়েছেন। তবু মুখরক্ষায় বিধানসভায় দুই বিধায়ক থাকলেও বিধান পরিষদ থেকে কংগ্রেস সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে চলেছে। বর্তমানে উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের কংগ্রেসের একমাত্র সদস্য হিসেবে রয়েছেন দীপক সিং। ছয় বছর আগে বিধানসভার বিধায়কদের সংরক্ষিত কোটায় নির্বাচিত হয়েছিলেন দীপক।
আগামী জুলাই মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ জুলাই মাস থেকেই উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের কংগ্রেসের একজন সদস্যও আর থাকছে না। চলতি সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের ৩৬ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। কিন্তু ৩৬টির মধ্যে কংগ্রেসের ভাগ্যে একটিও জোটেনি। অথচ ১৯৪৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদের বৃহত্তম দল ছিল কংগ্রেস। বিধান পরিষদের কংগ্রেসকে কোনও সদস্য পাঠাতে হলে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা উত্তরপ্রদেশের বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন ২০২৭ সালে।