গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরার আগেই অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন হন টিএমসি বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrat Mandal)। তাকে খোঁচা দিয়ে দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বললেন, এখন তো অনেক প্রভাবশালীর চিকিৎসা হচ্ছে উডবার্ন ওয়ার্ডে। কিন্তু আমি যখন জেলে ছিলাম, তখন আমার দাঁতের যন্ত্রণার চিকিৎসা হয়নি। এখন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড অসুস্থদের চিকিৎসাস্থল নয়, কয়েদিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।
ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে কুণাল ঘোষ মন্তব্য করে চলেছেন। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্র ক্ষোভের সুরে বললেন, আইকোর মডেলকে যিনি তুলে ধরেছিলেন, তিনি আজ মন্ত্রী। তিনিই তখন আমায় পাগল বলেছিলেন। তিনি এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত।
কে সেই মন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি কুণাল ঘোষ। তবে তিনি যে ধরণের মন্তব্য করে চলেছেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিব্রত। সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। তৃণমূল মুখপাত্র বলেছেন, এই দুর্নীতি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আমলে হয়নি। হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে।
এই মন্তব্যের জেরে পার্থবাবু বিব্রত হন। পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কুণাল মন্ত্রিসভার সদস্য নন। আমাদের সব দায়িত্ব যৌথ। আমি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য। পার্থদাও মন্ত্রিসভার সদস্য। তাই পার্থদার একার বিষয় নয়।