পাকিস্তান (Pakistan) সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী শনিবার দেশটির সংসদে অনাস্থা ভোটে বিরোধীদের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সরকার টিকিয়ে রাখতে হলে ইমরান খানের ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন লাগবে। কিন্তু শরিকরা ত্যাগ করায় এবং দলেরই কয়েকজন সাংসদ সরে যাওয়ায় ইমরান খানের প্রতি এখন ১৪২ জনের সমর্থন রয়েছে। তাই অনাস্থা ভোটে ইমরানের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত।
শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ইমরান খানের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিলো। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করবেন নাকি অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করবেন- সেদিকে তাকিয়ে সবাই। শুক্রবার তিনি মন্ত্রিপরিষদ এবং ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের পার্লামেন্টারি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ফের বলেছেন, শেষ বল পর্যন্ত তিনি খেলতে চান।
গত রবিবার অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইমরান খানের দল ওই প্রস্তাব আটকে দেয়। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এরপর ইমরানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। এ অবস্থায় অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতেই হচ্ছে ইমরানকে। আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হলে জাতীয় পরিষদ নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পারবে।