লোকসভা উপনির্বাচনের আগে সরগরম হয়ে গেল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল। হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Malay Ghatak) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে জেরা করতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট (ED) দিল্লি কার্যালয়।
আগামী ১১ এপ্রিল মলয় ঘটককে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের তৃ়ণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মলয় ঘটকের উপর উপনির্বাচনে দলের ভার রয়েছে। এই কেন্দ্রে ভোট হবে আগামী ১২ এপ্রিল। তার আগেরদিন দিল্লিতে গিয়ে মলয় ঘটককে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি গত দুবার জয়ী হয়েছে। তবে এই কেন্দ্রের সাংসদ পদ ছেড়ে বিজেপি ত্যাগ করে বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনি অবস্য বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে টিএমসির প্রার্থী। আর আসানসোলে টিএমসি প্রার্থী করেছে বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তাঁর হয়ে প্রচার করছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা টিএমসির অভিযোগ, মলয় ঘটককে ইডি ডাকছে উপনির্বাচনের আগে। এতেই স্পষ্ট বিজেপি রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হতে চলেছে। মলয় ঘটককে ডেকে পাঠানোর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ।
আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করেছে পশ্চিম আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল কে। তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, ওদের প্রার্থী হবার কেউ নেই।
এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিআইএমের হয়ে লড়ছেন পার্থ মুখার্জি। গত পুরনিগম ভোটে আসানসোলে টিএমসি জয়ী হলেও সিপিআইএমের সঙ্গে লড়াই হয় বিস্তর। শুধু তাই নয় পুরভোটে বিরোধী দল বিজেপিকে পিছনে ফেলে সিপিআইএম উঠে আসে দ্বিতীয় স্থানে। সেই প্রেক্ষিতে আসানসোল কেন্দ্রে লড়াই ত্রিমুখী।