নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণের নীতির ফল৷ শেষ পাঁচ বছরে লক্ষাধিক সরকারি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এই তথ্য স্বীকার করেছে সরকারই, লোকসভায় করা একটি প্রশ্নের জবাবে। নির্দিষ্টভাবে বলা যায়, ২০১৯-২০ সালে ৯.২ লক্ষের বেশি নিয়মিত কেন্দ্রীয় কর্মচারীর সংখ্যা ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১২ লক্ষে।
গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বিকেন্দ্রীকরণের পথে
বর্তমান প্রশাসনের আমলেই রেল, বিমান, কয়লা, এলআইসি—প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিকেন্দ্রীকরণের পথে। এমনকি সেনার অধীনে থাকা সৈনিক স্কুলগুলোও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে পরিচালিত হচ্ছে, যা সরকারের বেসরকারিকরণের নীতিরই অংশ।
লোকসভায় কেরলের সিপিএম সাংসদ সচিতানন্থম এর প্রশ্নের উত্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী বিএল বর্মা জানান, অনগ্রসর শ্রেণির চাকরির সংখ্যা ১.৯৯ লক্ষ থেকে বেড়ে ২.১৩ লক্ষ। অর্থাৎ চাকরির ক্ষতি মূলত সাধারণ কর্মীদের ওপর কেন্দ্রীভূত।
সরকারের যুক্তি কী? Central government job losses
সরকারের যুক্তি, লাভজনক সংস্থার উপর প্রভাব পড়ছে না। বরং, অপ্রস্তুত বা আর্থিকভাবে দুর্বল সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—কর্মীদের স্বার্থ এবং চাকরির নিরাপত্তা কেন উপেক্ষিত হচ্ছে?
এই বেসরকারিকরণের নীতির প্রভাব শুধুমাত্র চাকরির ক্ষতি নয়; কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ, দায়িত্ব বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতিকে আরও প্রকট করেছে। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী ও সাধারণ মানুষ, দুই পক্ষেরই উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিতর্ক শুরু
নাগরিক সমাজ, শ্রমিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক মহলে এই নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচণ্ড বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর পুনর্গঠন অবশ্যই কর্মীদের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষা করে করতে হবে, নয়তো এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Bharat: Over the last five years, lakhs of central government employees lost jobs due to privatization. Key PSUs, rail, aviation, coal, and LIC face decentralization, while PPP-run schools and other sectors expand under Modi administration.