অনবদ্য লড়াইয়ের শেষে রবিবার ডার্বি জয়ের মধ্য দিয়েই যুবভারতী ছেড়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করে যারফলে এবার টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসলো মশাল ব্রিগেড। দলের হয়ে গোল করেছেন গ্ৰীক গোলমেশিন দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকোস। গত সিজন পর্যন্ত সকলের কাছে অস্বস্তির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ালেও এবার বড় ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করলেন বিদেশি ফুটবলার। এ জয় নিয়ে যথেষ্ট খুশি সকল সমর্থকরা। গত সিজনের মাঝামাঝি সময় দলের দায়িত্বে এসেছিলেন অস্কার ব্রুজো। তাঁর তত্ত্বাবধানে দল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও সেবার ডার্বি জেতা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এবার নতুন মরসুমের শুরুতেই পড়শী ক্লাবকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও সে কথা খুব একটা মানতে নারাজ সবুজ-মেরুন সভাপতি দেবাশিস দত্ত। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” ওরা আজকে সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে খেলেছি। মোহনবাগানের বিপক্ষে নামেনি। যেদিন নামবে সেদিন বুঝতে পারবে মোহনবাগান কাকে বলে। দলের খেলোয়াড়রা সবে এসেছে। কেউ কেউ দুইদিন ও অনুশীলন করেনি। খেলোয়াড়দের মধ্যে তালমিলের ও অভাব রয়েছে। বলা যায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। তবে লিস্টনের যে শটটা বারে লাগল ওটা গোল হলে পরিস্থিতি বদল হতে পারত।”
আরও বলেন, ” তবে আমাদের ফিটনেস যে অবস্থায় রয়েছে সেই নিয়ে এই ম্যাচ জিতলে তা অবিশ্বাস্য ব্যাপার হতো। যারা জিতেছে তাদের অনেক শুভেচ্ছা। সুপার জায়ান্টকে ওরা পরাজিত করেছে। যেদিন মোহনবাগানের সঙ্গে খেলতে নামবে সেদিন মোহনবাগান বুঝিয়ে দেবে।” অপরদিকে, প্রতিপক্ষ শিবিরের কর্তাদের এক হাত নিতে ছাড়েননি লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” দল কখনও খেলতে পারবে কখনও খেলতে পারবে না, গত একশো বছর ধরে দুই ক্লাবের এই রেকর্ড আছে। সেখানে সাফল্য এনে আরেকজনকে বিদ্রুপ করাটা সঠিক কাজ নয়। আমি কাউকে নিন্দা করতে চাইনা তবে আমি মনে করি টিম ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াবে। এটাই হয়তো প্রথম পদক্ষেপ।”
লাল-হলুদ কর্তাকে মোহনবাগান বা সুপার জায়ান্টের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ” আমি মোহনবাগান দলকে তাড়াতাড়ি আসার অনুরোধ করবো। কারণ বৃষ্টি পড়ছিল রাস্তায় বেড়িয়েছে অন্য লোকের ছাতায় মাথা ঢুকিয়ে দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় আমাদের দল বুদ্ধি করে খেলেছে। একটা নতুন দল। অনেক গুলো ছেলে নতুন এসেছে। এরা ফিজিক্যালি ফিট না এখনও অব্দি। আমরা সবে সেমিফাইনালে উঠলাম। পরবর্তীতে আরও এগোতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দলের কোচ অস্কার ব্রুজোর সম্পূর্ণ ক্রেডিট রয়েছে।”