পাকিস্তানের (Pakistan) কোনও প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। এবারও কি তাই হবে! বিরোধীদের জোট অনাস্থা ভোটের ডাক দিয়েছে। শরিকদের পক্ষ ত্যাগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার অনাস্থা ভোটের আগে অস্থির পাকিস্তান।
পাক সংবাদমাধ্যের খবর, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদে ৩ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্থাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। এর মধ্যে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান।
একপ্রেস ট্রিবিউন জানাচ্ছে, ক্ষমতাসীন তেহরিক ই ইনসাফের সরকারকে উৎখাতে বিদেশি চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগে ইমরান খান দেশজুড়ে তরুণদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন। ভাষণে ইমরান খান বলেন, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আপনার আওয়াজ তুলুন এবং প্রতিবাদ করুন। এটি আমার জন্য নয়, দেশের ভবিষ্যতের জন্য।
ইমরান খান দাবি করে আসছেন, তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একটি বিদেশি শক্তি চক্রান্ত করছে। নাম উল্লেখ না করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এই অভিযোগ ইঙ্গিত করেন। এর জেরে পাক রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন ছড়ায়।
গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে তিনি বলেন হুমকি দেওয়া চিঠির কথা। সেই ভাষণে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেন। তবে দ্রুত তা সংশোধন করেন।